কাঁচরাপাড়ার নেতাজি নগর বাজারে আগুন লেগে ৯টি দোকান পুড়ে যায়। একটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে দমকলের অনুমান। দমকলের ৪টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কাঁচরাপাড়া বাজারে আগুনের ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার ভোরে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভূতবাগান ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে (Fire) বেশ কয়েকটি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের(Fire) তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশাপাশের দোকানগুলি পুড়ে যায়। আর বাজারে অধিকাংশ দোকানই কাঠের। দোকানগুলির মধ্যে প্রচুর কাঠ মজুত থাকায় আগুন (Fire) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাজারের মধ্যে একটি গ্যারাজ ছিল। সেখানের একাধিক বাইক রাখা ছিল। সবই পুড়ে গিয়েছে। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। দোকানের পাশাপাশি সেই বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে প্রথমে একটি কাঠের দোকানে আগুন (Fire) লাগে। দমকল আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন (Fire) লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনিতেই বাজারে রাতের দিকে কেউ থাকে না। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। তাদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরা ফোন করে ব্যবসায়ীদের খবর দেন। স্থানীয় লোকজনও নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কিন্তু, আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দ্রুত আগুন অন্য দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। পরে, আরও তিনটি দমকলের ইঞ্জিন এসে এদিন দুপুর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। কিন্তু, ততক্ষণে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নেতাজি নগর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রদীপ পালিত বলেন, সব মিলিয়ে ৯ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে একটি বাড়িও পুড়ে গিয়েছে। দমকল বাহিনী এসে আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।
এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। তিনি বলেন, আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।