গত কয়েক বছরে মে মাসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাংলাদেশ সীমান্তে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোখা’। ইয়েমেনের দেওয়া এই নাম।
আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্টের তথ্য অনুসারে, আগামী ১০ মে’র আশপাশে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোখা (Cyclone Mocha) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এবার মে মাসেই খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। মঙ্গলবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (Disaster Management Department) সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
গত কয়েক বছরে মে মাসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ২০২০ সালে ধেয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। যার তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। লন্ডভন্ড হয়েছিল কলকাতাও। পরের বছর, ২০২১ সালে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ২০২২ সালের মে মাসে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ওই বছরের অক্টোবর মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। আশঙ্কা সত্যি বলে, আবার মে মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে।
এই ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলার উপকূলের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, সেই বিষয়টি অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ওই ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে মধ্যরাত থেকে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুুন: 'তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়'! বিস্ফোরক সুকান্ত
আগামী ৬ মে, অর্থাৎ, শনিবার দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তার প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ৮ থেকে ৯ মে-এর মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ১০ থেকে ১২ মে-এর মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ মে থেকে ১৭ মে-এর মধ্যে বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: