চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া কিভাবে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডেসে নাম তুলল জানেন?
চতুর্থ শ্রেণীর কৃতী ছাত্র সুমিত সাহা। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইভ কম্পিউটার গেম তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলল দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর শহরের এক বেসরকারি স্কুলের খুদে পড়ুয়া সুমিত সাহা। এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত পরিবার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। এলাকায় খুশির আবাহ।
সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বাড়ি গঙ্গারামপুর পৌরসভার (Dakshin Dinajpur) বেলবাড়ি ২ নম্বর ওয়ার্ডে। দু'মাস আগে উজ্জ্বল কিডস ওয়ার্ল্ড স্কুলের এই পড়ুয়া একটি প্রতিযোগিতার জন্য একটি ২ মিনিট ২২ সেকেন্ড লাইভ কম্পিউটার গেম তৈরি করে। প্রায় দু'মাস বাদে ফালাফল আসে যে সুমিত সফল হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, পড়ুয়া ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়ে নাসায় বা ইসরোতে কাজ করতে চায়। ছেলের এমন সাফল্যে পরিবারের লোকজন ও স্কুল কর্তৃপক্ষরা বেশ খুশি।
এই পাড়ুয়ার বয়স মাত্র ১০ বছর এবং চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সে। সুমিতের বাবা সুজয় সাহা, মা রাখি পাল সকলকে নিয়ে তাদের পরিবার। ছোটবেলা থেকেই সুমিত পড়াশোনাতে বেশ মেধাবী। মাত্র দুমিনিট ২২ সেকেন্ডে একটি ট্রায় ট্রেন গেম তৈরী করে ২০২৩ সালের ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শিরোপা আদায় করে নিল এই খুদে পড়ুয়া।
রেকর্ড গড়ে, এই বিষয়ে খুদে ছাত্র সুমিত সাহা (Dakshin Dinajpur) বলে, “ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়ে নাসা বা ইসরোতে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে আমার। এছাড়াও কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আমার স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”
খুশিতে স্কুল (Dakshin Dinajpur) কর্তৃপক্ষ, খুদে পড়ুয়াকে উৎসাহিত করতে সংবর্ধনা দেয়। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা কম্পিউটার গেম, কোডিং ও ওয়েবসাইট তৈরি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের মেধা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বসার ব্যবস্থা করে থাকে বলে জানা গেছে।
স্কুলের (Dakshin Dinajpur) প্রধান শিক্ষক অসীম ঘোষ বলেন, “সুমিতের সাফল্য আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। পড়ুয়াদের আমরা পুঁথিগত শিক্ষার বাইরে গিয়ে, কারিগরি শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলি ছোট থেকেই। যার যেমন প্রতিভা রয়েছে, সেই পড়ুয়াকে সেভাবেই গড়ে তোলা হয়। আমাদের স্কুলের অনেক পড়ুয়া নিজেরাই ওয়েবপেজ ডিজাইন ও কোডিংয়ের কাজ করে। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সুমিত সাহা খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করে নিজের প্রতিভার বিকাশ করেছে। এতে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ খুবই খুশি”।
অপর দিকে ছেলের সাফল্যে সুমিতের বাবা-মা বলেন, "ছেলের এমন সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক আমরা এটাই চাই। আমরা সবসময় ওর পাশে সহযোগিতার জন্য রয়েছি।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।