যাদবপুরে এবিভিপির ওপর হামলা বাম ছাত্র সংগঠনের...
যাদবপুরে এবিভিপি ও বামছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছিল ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। অভিযোগ, প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সময় সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনের ওপর হামলা চালায় বাম ছাত্র সংগঠন। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করে এবিভিপি সদস্যরা (Ju Abvp)। পরিস্থিতি সামাল দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটে হাজির হন অধ্যাপকদের একাংশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চাপা উত্তজেনা রয়েছে এখনও। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকলেই সহযোগিতা করুন।’’
ক্যাম্পাসে বাধা পাওয়ার পরে এবিভিপি সদস্যরা (Ju Abvp) পরবর্তীকালে গ্রিন জোনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তখনও তাদের মুখে শোনা যায় রাম-রাম এবং জয় শ্রীরাম স্লোগান। তখনই উল্টো দিক থেকে এগিয়ে আসে বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। তাদের মুখে ছিল ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান। এবিভিপি সদস্যদের উপর হামলা করার উদ্দেশ্যেই তারা আসে। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। ঘটনাস্থলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। অশান্তি এতটাই ছড়ায় যে মাথা ফেটে যায় সিকিউরিটি হেড মুকুল চন্দ্র দাসের। গেটের বাইরে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রদের উদ্যোগে যাদবপুরে রাম মন্দিরের সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠান যে হবে, তা আগেই জানিয়েছিল ছাত্র সংগঠনটি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারও শুরু করেছিল তারা। আয়োজক হিসেবে নাম লেখা ছিল জেইউ স্টুডেন্ট। কিন্তু তখন থেকেই এসএফআই এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলি হুমকি দিতে থাকে রামের নামে কোনও অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে না। এনিয়ে এবিভিপির (Ju Abvp) সদস্যরা বলেন, “আমরা স্ক্রিনিং করছিলাম। প্রসাদ দিতাম। পুজো করতাম। সেই সময় বামপন্থী ছেলেমেয়েরা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে। আমাদের গালিগালাজ করা হয়। ওরা স্লোগান দেয়। এমনকী মারধর করা হয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।