Road Accident: বেঙ্গালুরুতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, দম্পতির প্রাণ কেড়ে নিল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা!
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে মেয়ের কাছে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে সস্ত্রীক বাড়ি ফিরছিলেন রণজিৎ মণ্ডল নামে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। দমদম এয়ারপোর্ট থেকে প্রাইভেট গাড়ি করে ফেরার পথেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Road Accident)। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। দুর্ঘটনায় রণজিৎ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রণজিৎ মণ্ডল (৬৪) ও তাঁর স্ত্রী বিজলী মণ্ডল (৫৯)। তাঁদের বাড়ি বর্ধমান শহরের আনন্দপল্লি এলাকায়। আর গাড়ি চালকের নাম বেচু ঘোষ (৩৪)। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুরের ঘোষপাড়ায়।
এদিন ভোরে গুড়াপ থানার মাজিনান ব্রিজের কাছে তাঁদের চার চাকা গাড়ি দুটি লরির মাঝে পড়ে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন আরোহী। কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল ওই মারুতি গাড়িটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই মারুতি গাড়ির গতি ভালোই ছিল। সামনেই একটি ট্রাক যাচ্ছিল। ট্রাকটি গতি কমাতেই মারুতি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। আর ওই মারুতি গাড়ির ঠিক পিছনে আরও একটি ট্রাক ছিল। সেই ট্রাকটি মারুতি গাড়িটিকে পিষে দিয়ে চলে যায়। তার পিছনে থাকা আরও একটি লরি দুর্ঘটনার (Road Accident) কবলে পড়ে। পুলিশ দুটি লরি আটক করেছে। চালকরা পলাতক। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোর রাতে বিকট শব্দে আশপাশের এলাকা থেকে আমরা ছুটে আসি। কিন্তু, তালগোল পাকানো গাড়ি দেখে আমরা হতভম্ভ হয়ে যাই। গাড়ির ভিতর থেকে কাউকে বের করা যাচ্ছিল না। খবর যায় গুড়াপ থানায়। সেখান থেকে পুলিশ এসে গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির পাত কেটে তিনটি দেহ উদ্ধার করে। ততক্ষণে ওই তিনজনই মারা গিয়েছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য দেহগুলি পাঠানো হয়।
দুর্ঘটনায় নিহত রণজিৎবাবুর ভাই কাজল মণ্ডল বলেন, ১৯ জুন বেঙ্গালুরুতে মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। চিকিৎসা করিয়ে দাদারা বেঙ্গালুরু থেকে ফিরছিলেন। মেয়ের বাড়ি থেকে সুস্থ হয়ে বর্ধমানে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। রাতে দমদম বিমানবন্দরে থেকে গাড়িতে উঠেছিলেন। ভোর চারটে নাগাদ গুড়াপ থানা থেকে আমাদের ফোন করে দুর্ঘটনার (Road Accident) খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রণজিৎবাবু বর্ধমান হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এই ঘটনার জেরে আনন্দপল্লি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।