তিনজনকে গ্রেফতার করে ৬০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল পুলিশ
এটিএমের কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে ধৃত তিন অভিযুক্ত (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব কায়দায় এটিএমে (ATM) প্রতারণা করে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা এলাকায়। বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারিত হয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই প্রতারণার যে মাস্টারমাইন্ড সে এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
একদিনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার শ্রীরামপুর, রিষড়া, উত্তরপাড়াসহ একাধিক জায়গায় ২২টি এটিএমে কয়েক কোটি টাকা ভরার কথা ছিল। একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই সংস্থার কর্মী হিসেবে দীপঙ্কর মোদক, সঞ্জীব পাত্ররা এটিএমে (ATM) টাকা ভরার কাজ করছিল। নিয়ম মেনে তারা ১১টি এটিএমে টাকা ভরেছিল। বাকি ১১টি এটিএমে তারা আর টাকা ভরেনি বলে অভিযোগ। এমনকী এটিএমের টাকা ভরার জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল সবটাই তারা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হিসেব মেলাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার তারা হদিশ পাচ্ছিল না। ২ মে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসে। দীপঙ্করের মাধ্যমেই এটিএমগুলিতে টাকা ভরার কথা ছিল। ফলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দীপঙ্করের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ৩ মে থেকে দীপঙ্কর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। পরিবারের লোকজনও তাঁর খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দীপঙ্করের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয়। দীপঙ্করসহ কয়েকজনের নামে ৫ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তু দত্ত, সঞ্জিত সরকার এবং সঞ্জিত পাত্র। এদের মধ্যে সঞ্জিত পাত্র এটিএম (ATM) এ টাকা ভরার সংস্থায় কাজ করত। বাকিরা তার বন্ধু। মূল অভিযুক্ত দীপঙ্কর এখনো অধরা। প্রত্যেকের বাড়ি মাহেশে। বন্ধুরা অপরাধ সংগঠিত করতে সাহায্য করেছিল।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, এটিএমে (ATM) টাকা ভরার পরিবর্তে অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছিল। ৫ মে শ্রীরামপুর থানায় আমরা অভিযোগ পাই। এরপরই তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করি। তাদের কাছে থেকে ৬০ লক্ষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় আরও একজন জড়িত রয়েছে। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।