তাজপুর বন্দর নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। ১০ লাখ চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতির এবার কী হবে? আদানিকাণ্ডের (Adani Group) পর এসব প্রশ্নই তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর শেয়ারে পতন ও তাদের সম্পত্তি মূল্য কমে যাওয়ার রিপোর্ট নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। এর প্রেক্ষিতে বাংলায় আদানি গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমরা সকলেই জানি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর (আদানি) সঙ্গে একটা গোপন আঁতাঁত করেছিলেন। আমি তাজপুর বন্দর নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এর পরেই শুভেন্দু বলেন, ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। ১০ লাখ চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতির এবার কী হবে?
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরে তাজপুর বন্দর ও বীরভূমে ডেউচা পাঁচামির খনি প্রকল্পে বিনিয়োগ করার কথা আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group)। এখানে প্রচুর পরিমাণে গ্রানাইট পাথর থাকায় আগ্রহ দেখিয়েছে এই শিল্পগোষ্ঠী। কৃষিভিত্তিক শিল্পেও আগ্রহ রয়েছে আদানিদের। বর্তমানে তাজপুরে চলছে সমীক্ষার কাজ। এসবের জেরে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আদানিদের উপস্থিতি বড় করে তুলে ধরা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। তবে বর্তমানে আদানিদের বিপর্যয়ের খবর প্রকাশ্যেই প্রমাণ গুণছে তৃণমূল। এদিন শুভেন্দু বলেন, আমি ভাবিত আমাদের তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে। আমি ভাবিত ডেউচা পাঁচামির পাথর কে কিনবে, তাই নিয়ে। তিনি বলেন, ভাইপো নতুন বন্ধু নিয়ে এসেছিল। এ বার নির্বাচনী বন্ড কোথা থেকে আসবে?
আরও পড়ুুন: মতুয়া ধর্মগুরুদের নাম বিকৃতি, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
এই প্রথম নয়, আদানি (Adani Group) প্রসঙ্গে এর আগেও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন শুভেন্দু। নিউ টাউনের ইকোপার্কে গৌতম আদানির পুত্র কিরণ আদানির হাতে তাজপুর বন্দরের কাজ শুরুর অনুমতি তুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ও সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাজ্য সরকার তো নীতিগতভাবে বেসরকারি সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধী। তাহলে পাঁচ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করবে কে? সেই সময় তিনি এও বলেছিলেন, একেবারে ঢপের চপ। আমি বারে বারে বলি একটি গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে গেলে যেখানে লক গেট হবে, তার পাশে ন্যূনতম পাঁচ হাজার একর জমি লাগে। চার লেনের জাতীয় সড়ক লাগে। রেলের লাইন লাগে। রেললাইন হল না, জাতীয় সড়কের কাজও তো শেষ হল না।