“তাজপুরের জন্য আদানিদের আদৌ কোনও আগ্রহই ছিল না"! বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা
শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়তে আদৌ রাজি ছিল না আদানিরা। মন্দারমণিতে স্থলবন্দর গড়তে চেয়েছিল তারা। বুধ-সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এর পর ফের বোমা ফাটাল বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তাজপুরের জন্য আদানিদের আদৌ কোনও আগ্রহই ছিল না। অন্য স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য রাজ্য সরকার ও আদানিদের সমঝোতা হয়েছিল।”
এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দুর দাবি, আদানিদের একটি সংস্থা এপিজেএল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশে তা পাঠানোর জন্য চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা ছিল, ওই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতে গেলে খুঁটি ও তার নিয়ে যেতে হত মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা এলাকা দিয়ে। সেখানে বহু বছরের আম ও লিচু বাগান থাকায় কৃষকরা বেঁকে বসেছিলেন। শুভেন্দুর দাবি, এই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে আদানির সমঝোতা হয় এবং বিশ্ববাংলা শিল্প সম্মেলনে এসে আদানি মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার পরে রাজ্য সরকারের পুলিশ নৃশংসভাবে আম ও লিচু চাষিদের প্রতিবাদ দমনে নেমেছিল বলে অভিযোগ।
Adanis were never interested to build the Tajpur Port. Mamata Banerjee knew it very well. But both played along ! Why?
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 22, 2023
Adani Power Jharkhand Ltd (APJL), a wholly-owned subsidiary of Adani Power Ltd, entered into an agreement with the Bangladesh Govt to supply electricity… pic.twitter.com/7z84FW4oKh
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আদানিরা কখনওই তাজপুরের প্রকল্প নিয়ে উৎসাহিত ছিল না। এখন স্বার্থ পূরণ এবং সেই সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে আদানিরা মনে হচ্ছে তাজপুর বন্দর থেকে সরে দাঁড়িয়েছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রকল্পের জন্য নতুন উৎসাহী খুঁজতে নেমেছেন। প্রায় এক দশক ধরে এই তাজপুর নিয়ে তিনি বড় গলা করে প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে এক বর্গ ইঞ্চির পরিকাঠামোও তৈরি করা হয়নি।”
আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে ‘পনৌতি’ মন্তব্য, রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি
প্রসঙ্গত, জগন্নাথও প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজ্য সরকার কি নিজের জমি অধিগ্রহণ নীতি বদলে ফেলেছে? মন্দারমণিতে স্থলবন্দরের জন্য আলাদা করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে? নাকি পুরনো দরপত্রেই এই প্রকল্পের কাজ চলছে? এক প্রকল্পের দরপত্রে অন্য প্রকল্প কী করে হয়? প্রসঙ্গত, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (Suvendu Adhikari) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাজপুরে বন্দর নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।