জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভুগছিল শাসনের বাসিন্দা ওই শিশুটি। গত রবিবার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট শহর জুড়ে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে অ্যাডিনো আতঙ্ক। জ্বর-শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও রাজ্যে ফের মৃত্যু হল ১১ মাসের এক শিশুর (Child Death)। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভুগছিল শাসনের বাসিন্দা ওই শিশুটি। গত রবিবার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় শিশুটির। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে অ্যাডিনো আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ শিশুর। তারমধ্যে বেশ কয়েক জনের কোমর্বিডিটি ছিল।
অ্যাডিনো উদ্বেগে চালু করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর। ১০ দফা অ্যাডভাইসরি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাতে বলা হয়েছে, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক করতে হবে। যে যে হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে শিশু বিভাগ আছে, সেখানে আলাদা আউটডোর চালু করতে হবে। যাতে সাধারণ বর্হিবিভাগে এইসব রোগীকে অপেক্ষা করতে না হয়। হাসপাতাল প্রধান বা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্ত শিশু রোগীদের রেফার করা যাবে না। ভেন্টিলেটর ও অন্য সামগ্রী প্রস্তুত রাখতে হবে। শিশু বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে লাগাতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটজনক শিশুদের (Children in Critical Condition) চিকিৎসার জন্য জেলায় জেলায় ICU পরিকাঠামো তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কর্মশালা (Virtual Workshop)। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল। তাই এত শিশু-মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শহরের বাইরে গেলেই মিলছে না অভিজ্ঞ চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞের অভাবে সঙ্কটজনক শিশুকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। চাপ বাড়ছে শহরের হাসপাতালগুলির শিশুবিভাগে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার ধকলও নিতে পারছে না অনেক শিশু। এককথায় সেই অভিযোগগুলিকে কার্যত মান্যতা দিল স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: বাড়তি ওজন কমাতে পাতে রাখুন এই ৬ প্রকারের উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি
সঙ্কটজনক শিশুদের চিকিৎসার জন্য জেলায় ICU পরিকাঠামো তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলাস্তরের হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ PICU না থাকায়, বড়দের CCU, HDU পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে মাস্ক, ক্যানুলা ও সার্কিট ব্যবহার করে শিশুদের চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কর্মশালা। কর্মশালায় জেলার হাসপাতালগুলির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, CCU, HDU-এর মেডিক্যাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরপর হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।