বৃহস্পতিবার তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডল
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ ঘণ্টার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে তাঁকে। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করতে পারে ইডি। সায়গলের মতো অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে। শুক্রবারই দিল্লির পিএমএলএ কোর্টে অনুব্রতকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন জানাতে পারে ইডি। বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তিন গোয়েন্দা আসানসোলে সংশোধনাগারে ৫ ঘণ্টা জেরা করেন অনুব্রতকে। তারপরেই হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, এখনও ইডির অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত মণ্ডল। যদিও এই মামলা যেহেতু পিএমএলএ, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা বেশ কিছু অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে অ্যারেস্ট মেমোতে অনুব্রত সই না করলে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি।
আগেই খবর ছিল, বৃহস্পতিবার জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় ইডি। সেই মতো এ দিন সকালেই ইডির তদন্তকারী দল আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছে গিয়ে জেরা করতে শুরু করে। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নিয়ে জেরা করে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চান গোয়েন্দারা। কিন্তু অনুব্রতর উত্তরে খুশি হননি গোয়েন্দারা। অনুব্রত গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলেই এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, কেমন আছেন মন্ত্রী?
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত অগাস্ট মাসেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতকে গ্রেফতার করার আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকে। এতদিন তিনিও আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। কিছুদিন আগেই একই ভাবে সায়গলকে ‘সোন অ্যারেস্ট’ করে দিল্লি নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার অনুব্রতকে ইডি গ্রেফতার করার পর অনেকেই মনে করছেন তাঁকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অনুব্রত-সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
ইডি সূত্রে দাবি, যেহেতু অনুব্রতকে আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে হবে, তাই তাঁকে আসানসোলের আদালতেই পেশ করানো হতে পারে। সেখানে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারেন গোয়েন্দারা। সায়গলের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, অনুব্রতর বহু বেনামী সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে এখনও মুখ খোলেননি কেষ্ট মণ্ডল।