Health Examination: হাওড়া ব্রিজের কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা?
হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হল (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করা হল। শেষবার আশির দশকে হয়েছিল। চার দশকের পর এবার সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হল। ইতিমধ্যেই সেই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার ব্রিজে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য ট্রাফিক ব্লক নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা (Health Examination) সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কাজ আরও তিন-চারমাস চলবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে, আর ট্রাফিক ব্লক নেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১৯৮৩-৮৮ সালের মধ্যে রেলওয়ে কনসালটেন্সি বা রাইটস (RITES) সর্বশেষ এই ধরনের সমীক্ষা (Howrah Bridge) পরিচালনা করেছিল, এবারও কাজটি এই সংস্থায় দায়িত্ব নিয়ে করছে। ব্রিজটির মূল ডিজাইনার ব্রিটিশ ফার্ম রেন্ডেল পামার এবং ট্রাইটন (আরপিটি) তাদের সঙ্গে যোগ দেবে বলে জানা গিয়েছে। শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের (পূর্ববর্তী কলকাতা বন্দর বা KOPT) একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্রিজের অবস্থা খতিয়ে দেখার পর তা বিশ্লেষণ করা হবে। ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে এই বিষয়ে একটি বিস্তৃত রিপোর্ট পাব বলে আমরা আশা করি।" আর ট্রাফিক ব্লক প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করেছেন, ব্রিজে গাড়ি চলাচল করলে সেতুর অবস্থার একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যেত না। ব্রিজের বেশ কিছু বিষয় পরীক্ষা করা হয়েছে। মূলত, শনিবার রাত ১১.৩০ থেকে ভোর ৪.৩০ টার মধ্যে ব্রিজটিকে যানবাহন মুক্ত করা হয়েছিল। মূলত ব্রিজটি মহানগরে পরিষেবা দেওয়ার জায়গা রয়েছে কি না তা গণনা করার দরকার। ব্রিজের শত শত জয়েন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। সেগুলি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?
হাওড়া সেতু (Howrah Bridge) বা রবীন্দ্র সেতুটি ১৯৪৩ সালে চালু হয়েছিল। ৪০ বছর ধরে একটানা সেবা করার পর ১৯৮৩ সালে শেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। শেষ সমীক্ষায়, RITES RPT- সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল। সেতুটির ক্যারেজওয়ে ৭১-ফুট চওড়া, দুপাশে দুটি ১৮.৫ ফুট চওড়া ফুটপাথ রয়েছে। গত মে মাসে বিটুমিনাস রাস্তার ওপরিভাগ স্ক্র্যাপ করে কলকাতার সবচেয়ে স্বীকৃত ল্যান্ডমার্কের লোড কমানোর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। হুগলি জুড়ে ক্যান্টিলিভার ব্রিজটি বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম কাঠামো। এটি প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ যানবাহন এবং দেড় লক্ষের এরও বেশি পথচারী চলাচল করেন। ব্রিজটি তৈরি হওয়ার পর প্রথম যানবাহন ছিল একটি ট্রাম।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।