বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী ট্রাক কলকাতার রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না
নয়া নির্দেশিকা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় খুদে পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর জেরে এবার পণ্যবাহী ট্রাক ও লরি চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন বিধি চালু হল শহরে। সোমবার রাতে এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ট্রাফিক বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী ট্রাক কলকাতার রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না। এতদিন সকাল আটটা থেকে শহরে এই নিয়ম চালু ছিল।
শুক্রবারে সকালেই পথদুর্ঘটনায় বেহালা চৌরাস্তায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় সাত বছরের শিশু সৌরনীল সরকারের। বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের এই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সমগ্র বেহালা। পুলিশের (Kolkata Police) গাড়ি জ্বলে ওঠে জনরোষে। একাধিক সরকারি বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়। সকালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ কর্তারা। কলকাতার রাস্তায় সকাল আটটা পর্যন্ত ট্রাক লরি চলাচলে কোনও রকমের নিষেধাজ্ঞা ছিল না এতদিন পর্যন্ত। কিন্তু শহরের বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হল, কারণ কলকাতার একাধিক স্কুলের ক্লাস শুরু হয় সকাল সাড়ে সাতটা কিংবা আটটা থেকে। এই সময়ে ট্রাক ও লরি চলাচল করলে স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি সোমবার রাতেই লালবাজারে তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে পণ্যবাহী ভারী ও মাঝারি যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (ওষুধ, দুধ, সবজি ইত্যাদি) এবং পচনশীল পদার্থের যাতায়াতকারী যানবাহনগুলি রাত দশটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে বলেই জানা গিয়েছে। এবং পুরো শহর জুড়ে এই নিয়ম চালু হলেও বন্দর এলাকায় এই নতুন নির্দেশ কার্যকর হবে না বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে (Kolkata Police)। কারণ বেশিরভাগ কলকারখানা রয়েছে কলকাতা বন্দর এলাকায়। এবং সেখানে অনেক ক্ষেত্রে মাল খালি করতে হয় ট্রাক ও লরিগুলিকে। পাশাপাশি বন্দর এলাকাতে সেভাবে বিদ্যালয়ও নেই।
শুক্রবার শিশুমৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তাই রবিবার ছুটির দিনেও বেহালা চৌরাস্তায় কড়া পুলিশি প্রহরা (Kolkata Police) দেখা গিয়েছে। এবং রাস্তাতেও সেদিন ব্যারিকেড বসানো হয়। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে শহরের সমস্ত স্কুলের বাইরে থাকতে হবে ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসি পদমর্যাদার একজন পুলিশকর্তাকে (Kolkata Police)। স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ভিড় সামলানোর দায়িত্ব থাকবে পুলিশের উপর। লালবাজারের আরও নির্দেশ, কোনও পথ দুর্ঘটনা ঘটলে সবার আগে দেহ সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে প্রতিটি থানায় উপস্থিত থাকতেই হবে ওসিদের এবং বিশেষ করে রাতে যেন ২৫ শতাংশ বাহিনী হাজির থাকে থানায়। আইনশৃঙ্খলার কোথাও অবনতি ঘটলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মহিলা পুলিশও (Kolkata Police) মোতায়েন করতে হবে সঙ্গে সঙ্গে। এই সমস্ত বাহিনীর উপর নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।