img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Attack: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পরই হামলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুজনের, জখম একাধিক কর্মী, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পরই হামলা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুজনের। জখম একাধিক তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে।

img

হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

  2023-03-30 19:11:37

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল চোপড়া। প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘাবানা এলাকায়। দলীয় কর্মীদের হামলায় (Attack) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুজন তৃণমূল কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম ফয়জুল রহমান (৫৪) এবং হাসু মহম্মদ (৪৫)। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়জুলের মৃত্যু হয়। হাসু মহম্মদকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন জখম হন। তাঁদের দলুয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।

প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পর কেন গুলি চলল? Attack

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে এদিন দিঘাবানা এলাকায় বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে কে এবার প্রার্থী হবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। প্রার্থী ঠিক করার জন্য কোর কমিটির সদস্যরা আসেন। বহু আলোচনার পর দুজনের নাম ঠিক হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নাসিরের এক অনুগামীকে প্রার্থী হিসেবে ঠিক করা হয়। আর শামসুল রহমান নামে অন্য এক তৃণমূল কর্মীর নাম ঠিক হয়। মৃত তৃণমূল কর্মী ফয়জুলের ভাই শামসুল। কিন্তু, বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত নাসির ও তাঁর অনুগামীদের পছন্দ হয়নি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সকলেই বেরিয়ে আসেন। শামসুলের অনুগামীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। যেটা নাসির ও তাঁর অনুগামীরা সহ্য করতে পারেনি। মৃত তৃণমূল কর্মীর ভাই মহম্মদ আব্বাস বলেন, নাসিররা একজনের নাম পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু, বৈঠকে কোর কমিটির নেতারা দুটি নাম নিয়ে যান। সেটা নাসির ও তার দলবলের পছন্দ হয়নি। বৈঠক শেষে সকলেই বাড়ি ফিরছিলাম। সবাই আনন্দে ছিলাম। আচমকা রাস্তায় উঠতেই নাসির ও তার লোকজন হামলা (Attack)  চালায়। আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালানো শুরু করে। সূত্রের খবর, বুথ কমিটির বৈঠকে পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে দুই শিবিরের বচসা হয়। তখনকার মতো মিটেও যায়। কিন্তু, বাড়ি ফেরার সময় বাইরের কিছু দুষ্কৃতী এসে ফয়জুল ও হাসু মহম্মদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেখানেই দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। গুলি লাগে আরও কয়েকজনের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এগুলি সবই ছড়রা গুলি।

কী বললেন মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে? Attack

মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে কাদের রহমান বলেন, বুথের মিটিং দেখতে এসেছিল বাবা। এবার পঞ্চায়েতে যে প্রার্থী হবে তার দিকে বাবার সমর্থন রয়েছে। এটাই অপরাধ। এরজন্যই বাবাকে ওরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে দিল। আরও অনেকের গুলি লেগেছে। বাবা মাটিতে পড়ে যেতেই আমরা ছুটে যাই। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানেই বাবার মৃত্যু হয়। যাদের গুলিতে আমার বাবার প্রাণ গেল, তারা সবাই তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট। এলাকায় তৃণমূল এখন দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে।

কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? Attack

গোষ্ঠীকোন্দলকে কেন্দ্র করে শাসক দলের মুখ পুড়েছে। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃত পরিবারের লোকজন। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিজেপির সহ সভাপতির কী বক্তব্য? Attack

বিজেপির সহ সভাপতি সুরজিত্ সেন বলেন, প্রার্থী নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। দলীয় কর্মী খুন হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট আসার আগে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। আর পঞ্চায়েত ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা বোঝাই যাচ্ছে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

North Dinajpur

bangla news

Bengali news

Trinamool

Chopra

Candidate

workers

attack

dead

Meeting

panchyat

shooout


আরও খবর


ছবিতে খবর