বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে গেল অ্যাম্বুলেন্স
দুই পথচারীকে পিষে দিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের। রামপুরহাট থেকে রেফার হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় বিপত্তি (Accident)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচজন। শুক্রবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান-বোলপুর ২বি জাতীয় সড়কের ভাতারের নতুনগ্রাম এলাকায়। ভাতারের নতুনগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় আসতেই বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি বাইক ও সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মেরে দুই পথচারীকে পিষে দিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি।
কাদের মৃত্যু হল (Accident)?
দুর্ঘটনায় আম্বুলেন্সে থাকা রোগী সহ মৃত্যু হয় সাইকেল ও বাইক আরোহীর। মৃতরা (Accident) হলেন আম্বুলেন্স থাকা রোগী অনন্ত লেট (৭০), সাইকেল আরোহী তাপস ঘোষ (২৬) এবং বাইক আরোহী আব্দুল রহিম (৩০)। স্থানীয় মানুষজন ও ভাতার থানার পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সেখানেই মৃত্যু হয় এক পথচারীর। মৃতের নাম তাপস ঘোষ ( ২৬)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নতুনগ্রামে। বাইক আরোহী দু'জনের বাড়ি বর্ধমানের আলমপুর এলাকায়। ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। তড়িঘড়ি ভাতার থানার পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। স্থানীয় মানুষজন জাতীয় সড়কের নতুনগ্রামে স্পিড ব্রেকারের দাবি জানান। পুলিশের আশ্বাসে শান্ত হন উত্তেজিত জনতা। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িগুলিকে উদ্ধার করে।
কী বলছেন মৃতের আত্মীয়?
মৃতের আত্মীয় রানু ঘোষ বলেন, আমি বাড়িতে দোতলায় ছিলাম। একটা বিকট আওয়াজ (Accident) শুনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসি। মনে হল যেন কিছু বিস্ফোরণ হয়েছে। দেখি দুজন পড়ে রয়েছে। একজনের হাত ভেঙেছে, একজনের পা। এরই মধ্যে দেখি আমেদের গ্রামেরই একটা ছেলে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বুঝতে পারলাম, সে আমাদেরই ভাই হয়, আমার পিস-শাশুড়ির ছেলে, তাপস ঘোষ। কিছু বোঝার আগেই ওকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেল। বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
কী অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের?
স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ ঘোষ বলেন, এখানে সব গাড়ি অত্যন্ত রেপরোয়া গতিতে (Accident) যায়। হাম্পের কোনও ব্যবস্থা নেই। দুটো হাম্প ছিল। কিন্তু রাস্তা উঁচু করার পর সেগুলো প্রায় রাস্তার সঙ্গে মিশে গেছে। কোনও লরি মানে না। রাতের দিকে এতো ভাইব্রেশন হয়, আমরা ঘুমতে পারি না। আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিলাম। পুলিশ এসে আশ্বাস দিয়েছে, এখানে হাম্প করে দেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।