এবার পুজোর সময় দেবীকে গয়না পরাবেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সহকারী পুরোহিত।
মা কালীর সামনে অনুব্রত মণ্ডল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মা কালীর অন্যতম বিশেষত্বই হল তাঁর হালকা-ভারি সোনার গয়না। কালী পুজোর (Kali Pujo) আগের দিন সেই সব গয়না একত্রিত করা হয়। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে সেই গয়না মা কালীর অঙ্গে এক এক করে পরানো হয়। কী নেই সেই তালিকায়? সীতাহার থেকে চিক, বাজুবন্ধ থেকে মান্তাসা।
আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও
বীরভূম তৃণমূল সূত্রে খবর, কালী প্রতিমার জন্য রয়েছে সোনার মুকুট। রয়েছে নানা রকমের হার। এ ছাড়া, সীতাহার, চেন, গলার চিক, টায়রা-টিকলিও রয়েছে প্রতিমা সাজানোর জন্য। সাজসজ্জার জন্য রয়েছে চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা এবং বেশ কয়েকটি আংটিও। রয়েছে, বালা, বাউটি, বাজুবন্ধ ইত্যাদিও। কালীপুজোর সময় ওই সব গয়না বার করে সাজানো হয় প্রতিমাকে। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে এ বছর জেলা কমিটির নেতারাই গয়নায় সাজিয়ে দেবেন প্রতিমাকে। কেষ্ট নিজে হাতে এই গয়না পরিয়ে দিতেন মা কালীকে। কিন্তু বিধি বাম! এবার পুজোর সময় দেবীকে গয়না পরাবেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সহকারী পুরোহিত।
আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা
সূত্রের খবর, যে পরিমাণ অলঙ্কার প্রতিবছর দেবীকে পরানো হত এ বছর তা পরানো হবে না। শুধুমাত্র মাথার মুকুট, গলার হার, কানের দুল আর পায়ের নূপুরই পরানো হবে এবার। দলীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে কালী প্রতিমার সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল ১৮০ ভরি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে এই সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৬০ ভরি। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, চুর, কানের দুল, গলার হার মিলিয়ে প্রায় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমূর্তিকে সাজিয়েছিলেন অনুব্রত নিজে। কিন্তু গরু পাচার মামলায় এবার তিনি জেলে। সিবিআইয়ের নজর রয়েছে কালী প্ররতিমার গয়নার উপরেও। কোন কোন জায়গা থেকে সেই গয়না এনে জড়ো করা হবে তা-ও দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তাই সবাই একটু সতর্ক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।