Argentina: উপার্জিত অর্থের টাকায় 'ভাই' মেসির মূর্তি উন্মোচন করে তাক লাগালেন তিনি। তবে তিনি মেসিকে 'ভাই' বলেন কেন জানেন?
মেসি ভক্ত শিবা পাত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ মানেই উন্মাদনা, বিশেষ করে ফুটবল বললেই বাঙালির মনে হইচই শুরু হয়ে যায়। ফিফা শুরুর আগে থেকেই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় বাঙালির আবেগে সেজে উঠেছিল বিভিন্ন দলের পতাকা সহ পাড়ার অলিগলি। তবে এক মেসি ভক্তের কাণ্ড নজর কেড়েছে রাজ্যবাসীর। তাঁর নাম শিবা পাত্র ও তিনি পেশায় চা-বিক্রেতা। চা বিক্রির উপার্জিত টাকায় বানিয়ে ফেললেন মেসির মূর্তি। তিনি মেসিকে ‘ভাই’ বলে মনে করেন। বিশ্বকাপের শুরুতেই উন্মোচন করেন ‘ভাই’ মেসির মূর্তি। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ি, দোকান সব নীল-সাদা রঙে রাঙানো। ফুটবল, আজের্ন্টিনা ও মেসিকে কতটা ভালোবাসলে ও তাঁর কত বড় ভক্ত হলে এমন কাণ্ড করা যায়, তারই উদাহরণ এই ব্যক্তি।
ইছাপুরের নবাবগঞ্জের চা বিক্রেতা শিবা পাত্র। আর্জেন্টিনার এত বড় ভক্ত তিনি, যে উদ্যোগ নিয়ে আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবই তৈরি করে ফেলেছেন। প্রতিবারই ফুটবল বিশ্বকাপের আগে নিজের বাড়িতে সাদা-নীল রঙে রাঙিয়ে আর্জেন্টিনার প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেন। এমনকী তাঁর বাড়ির ভিতরটাও নীল-সাদা। আলমারি ও সিলিং-এও আর্জেন্টিনার পতাকার রঙ করা হয়েছে। আর এবারে তাঁর আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে তাঁর নিজের টাকায় মূর্তিও বানিয়ে ফেললেন শিবা পাত্র।
তাঁর স্বপ্ন ছিল ‘ভাই’ মেসির খেলা কাতারে গিয়ে দেখার, কিন্তু তা সম্ভব না হলে এখানেই বানিয়ে ফেলেন মেসির মূর্তি। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ির পাশাপাশি চায়ের দোকানও আজের্ন্টিনার পতাকার নীল-সাদা রঙে ভরা। তিনি তাঁর উপার্জন করা টাকা জমিয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা, ফেস্টুন, মেসি এবং মারাদোনার ছবি দিয়ে তাঁর এলাকা সাজিয়েছেন।
তাঁর আর্জেন্টিনার প্রতি অগাধ ভালোবাসা দেখে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আর্জেন্টিনার মেসি আমার ভাইয়ের মত। আমি ১৯৮৬ সাল থেকে আর্জেন্টিনার খেলা পছন্দ করি। আমি নিজে ফুটবল খেলতাম। আমি মারাদোনা কেও পছন্দ করতাম। কিন্তু মেসি আমার ভাই। ভারত যদি কখনও বিশ্বকাপ খেলতে পারে তাহলে আমি ভারতের সমর্থক হব কিন্তু মেসি আমার ভাইয়ের মত।” তিনি আরও বলেন, “আমি সত্যি ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে যেতে চেয়েছিলাম এবং অর্থ সঞ্চয় করেছিলাম। কিন্তু আমি তার পরিবর্তে সেই টাকা দিয়ে একটি মেসির মূর্তি তৈরি করে দোকানের পাশে রেখেছি।
শিবা পাত্রর স্ত্রী বলেছেন, “আমরা তাঁর অনুভূতিকে সম্মান করি। তিনি যা করেন তাতে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমরা গর্বিত। রাস্তায় সবাই আমাদের আর্জেন্টিনা বলে চেনে। আমার মেয়ের বিয়ের মন্ডপ থেকে প্যান্ডেল, বিয়ের পোশাক, খাবারেও নীল-সাদার ছোঁয়া ছিল।”
শিবা পাত্র জানিয়েছেন, বিশ্বের সমস্ত ট্রফি হাতে তুলেছেন মেসি। শুধু বাকি রয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। তাঁর আশা এ বছর মেসির হাতে উঠবে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা। ফলে প্রিয় ফুটবলার ‘ভাই’ মেসির বিশ্বজয়ের আশায় দিনরাত প্রার্থনা করে চলেছেন তিনি।