অর্জুনের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সোমনাথ-সুবোধ, কী বললেন?
সোমনাথ শ্যাম (বাঁদিকে), অর্জুন সিং (মাঝখানে), সুবোধ অধিকারী (ডানদিকে)(সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ফের অর্জুন-সোমনাথ-সুবোধ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। একইসঙ্গে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী অর্জুনের (Arjun Singh) বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বলে সাংসদ এবং বিধায়কদের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার কাঁচরাপাড়া কাঁপা মোড় সংলগ্ন বাবু ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে আবারও বিস্ফোরক সুবোধ এবং সোমনাথ। দুজনেরই আক্রমণের লক্ষ্য ছিল সংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দলের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বলেন, ২০১৯ সালে বীজপুর থেকে টিটাগড় যে সন্ত্রাস, তাণ্ডব হয়েছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও তা করার চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্যের সেরা থানার পুরস্কার পাওয়া বীজপুরকে নতুন করে অশান্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এরপরই সুবোধ অধিকারীর গলায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুর। সাংসদ অর্জুন সিং কে নিশানা করে বলেন, ' তিনি দাগী আসামীদের নিয়ে বীজপুরে অনেক জায়গায় পিকনিক করছেন। সেই ছবি আমি পুলিশ এবং প্রশাসনকে পাঠিয়েছি। ২০১৯ সালে প্রতিবাদ হয়েছে। আবারও আমি সাবধান করতে চাই। আবারও যদি এই কাজ করতে যান তাহলে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে এবং সামল দিতে হবে আপনাকে'। সাংসদের নাম না করে সুবোধের কটাক্ষ, পল্টুরাম নীতীশ কুমার এখানেও আছে। যে ছেলেকে বিজেপিতে ঢুকিয়ে রেখেছে এবং নিজে তৃণমূলে ঘোরাঘুরি করছে। অর্থাৎ এক পা বিজেপিতে এবং এক পা তৃণমূলে। আবার আমাদের নামেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে আমরা নাকি দিল্লিতে গিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করার জন্য! আমরা তো তৃণমূলেই থাকবো, কিন্তু তিনি যে আগামী দিনে আবার পল্টুরাম হবেন না তার গ্যারান্টি কে নেবে? এরপরই মঞ্চের সামনে আসনে বসা মানুষদের উদ্দেশে সুবোধ বলেন, ' ২০২৪ সালে আবার অনেক পল্টুরাম পাবেন। তারা অনেক কথা বলবে। কিন্তু, সেদিকে কান দেবেন না'।
জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নিশানাতেও সেই অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একসময়ের মুকুল রায়ের খাস তালুক কাঁচরাপাড়ায় দাঁড়িয়ে সোমনাথ শ্যাম বলেন, 'এখানে নাকি বড় বড় নেতারা থাকতেন। যারা পাল্টিবাজ। সেই পাল্টিবাজদের মত কিছু নেতা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছেন আমি এবং সুবোধ নাকি দিল্লিতে রওনা দিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করতে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা পাল্টিবাজ নই। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের খুন করার চক্রান্ত করছে সাংসদ। এর আগে ইছাপুরে শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মজুমদারের পিছনেও সাংসদের হাত রয়েছে। ভারাটে খুনিরা তা স্বীকার করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।