চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, প্রথমে একাধিক বার এই টাকা ও গহনা তাঁর নয় বলে দাবি করেন অর্পিতা। পরে সবকিছু পার্থর বলে জানান।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব টাকা, সোনার গয়নার মালিক রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পাহাড়, ড্রয়্যার ভর্তি সোনার গয়না কোনও কিছুই তাঁর নয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের (ED) জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়, পার্থর (SSC Case)। আদালতে ইডি (ED) জানিয়েছে, অর্পিতার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন পার্থ। কেনা হয়েছিল প্রচুর বেনামি সম্পত্তি। ভুয়ো সংস্থার নামে চাকরি বিক্রির কালো টাকা সাদা করা হতো। অর্পিতার নামে থাকা ৩২টি জীবনবিমার নমিনি ছিলেন পার্থ। অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল, তাও নাকি ছিল পার্থর, জানিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন: শীতের বিদায় বেলায় ফের পতন তাপমাত্রায়, জানুন আবহাওয়া আপডেট
গত বছরের ২৩ জুলাই টালিগঞ্জ এবং ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু'টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা ও গহনা উদ্ধার করা হয়। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, প্রথমে একাধিক বার এই টাকা ও গহনা তাঁর নয় বলে দাবি করেন অর্পিতা। ২০২২-এর ৪ অগাস্টের বয়ানে তিনি দাবি করেন, নিজের এবং মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রথমে তিনি সত্যি কথাটা বলেননি। অর্পিতা এরপর দাবি করেন, তাঁর দু'টি ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল নগদ ও সোনা-গহনা উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক পার্থ। তাই পার্থই বলতে পারবেন, বিপুল এই টাকা কোথা থেকে এসেছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবারও আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ আছে কেস ডায়েরিতে,জানায় আদালত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, গ্রেফতারির সময় নিজের প্রভাব বোঝাতে পার্থ বলেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ কাছের। আদালতে দাঁড়িয়ে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এতটাই প্রভাবশালী যে, গ্রেফতারির সময় ইডি'র কাছে নিজেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের nearest ও dearest বলে দাবি করেছিলেন। এমনকী, নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে ইডির আধিকারিকদের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন!ED সূত্রে দাবি, চারবার তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেকথা অ্য়ারেস্ট মেমোতেও উল্লেখ করে ইডি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।