যজ্ঞশালায় মূর্তি সজ্জায় রাত-দিন জেগে কাজ করছেন কাঁথির শিল্পীরা....
নির্মীয়মাণ রাম মন্দির। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ramlala) নির্মাণে বঙ্গের শিল্পীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জানা গিয়েছে বঙ্গ থেকে কাঁথির শিল্পীরা রাত-দিন এক করে প্রভু রামের মন্দিরের যজ্ঞশালায় কাজ করে চলেছেন। রঙিন আলো, রামায়ণের চরিত্রদের সুদৃশ্য মূর্তি, মন্দিরের রেপ্লিকা এবং রামায়ণের নানান পর্বকে নিজের হাতে শৈল্পিক অনন্য নিপুণতায় কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন কিশোর মাইতি। আগামী ২২ জানুরি প্রভু শ্রী রাম লালার মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হল পূজাচার এবং বিধিপালন উৎসব।
রাম মন্দিরের (Ramlala) জন্য বঙ্গের যোগদানের কথা আগেও জানা গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে জামালউদ্দীনের ফাইবারের রামের মূর্তি অযোধ্যায় পাড়ি দিয়েছে। চন্দননগরের আলোকসজ্জা ইতি মধ্যেই অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছে। রাম নগরী সেজে উঠবে এই আলোর বর্ণাঢ্য শোভায়। পাশপাশি মন্দিরের নির্মাণ কাজ এবং শিল্প সজ্জায় পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পীদের কর্তব্য, নিষ্ঠার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। মন্দিরের মূল প্রবেশ দ্বারের উলটো দিকে রামজন্মভূমির কর্মশালা। তার কাছেই রয়েছে যজ্ঞশালা। রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার সময় এই যজ্ঞশালায় করা হবে যজ্ঞ। তাই এই যজ্ঞশালায় ১০০৮ টি যজ্ঞকুন্ড তৈরি করা হচ্ছে। এই যজ্ঞশালায় সাজানো থাকবে নানান মূর্তি। এই মূর্তিগুলি রামায়ণের বিভিন্ন পর্বের প্রতিচ্ছবি। শুধু রাম মন্দির নয়, তাঁকে ঘিরে নানান সাজসজ্জা, কারুকার্য, চিত্রকলা, মূর্তি, ছবি, আলোকসজ্জা সবটা মিলিয়ে বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশেষ মান্যাতা লাভ করবে বলে অনেকে বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। শিল্পী কিশোর মাইতি জানিয়েছেন, "সমানেই উদ্বোধন হবে তাই আমরা রাত-দিন এক করে কাজ করছি।"
২২ তারিখ মন্দিরের উদ্বোধনের সূচনা হলেও আজ মঙ্গলবার ১৬ তারিখ থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। কার্যত এক সপ্তাহ আগে থেকেই পুজাচার এবং বিধি পালান শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, সরযূ নদীর তীরে ‘দশ বিধ’ স্নান, বিষ্ণু পুজো গোমাতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হবে। বালক রাম লালার (Ramlala) মূর্তি নিয়ে হবে নগর পরিক্রমা। মঙ্গল কলসে করে আনা হবে সরযূ নদীর জল। সেই সঙ্গে জ্বালানো হল গুজরাট থেকে আগত ১০৮ ফুটের বিরাট ধূপকাঠি। আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বৈদিক মন্ত্র পাঠের অনুষ্ঠান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।