এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
জিতেন্দ্র-চৈতালি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পদপিষ্ট মামলায় প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষা কবচের আবেদন করেছিলেন চৈতালি। বৃহস্পতিবার চৈতালির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। চৈতালির এই মুহূর্ত থেকে আর কোনও রক্ষাকবজ থাকল না।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু চৈতালি (Asansol) তদন্তে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ করে পুলিশ। তাঁকে বারবার নোটিস দিয়েও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকী, তিওয়াড়ি দম্পতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আসানসোলে (Asansol) কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মানুষ মারা গিয়েছিল। এই কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যায় চৈতালির। বাড়িতে পুলিশ এসে খোঁজ পর্যন্ত করেছিল। নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি আগাম জামিনের আবেদন করেন। যা দিল না কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে (Asansol) শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। আসানসোলের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। শুভেন্দু নিজের হাতে কিছু কম্বল বিতরণ করেছিলেন। শুভেন্দু ওই অনুষ্ঠান স্থল ছাড়ার পরেই কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ওই এলাকায়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হন অনেকে।
এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালির (Asansol)। অভিযোগ ছিল, পুলিশের কাছ থেকে ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। আর তাতেই বিপাকে পড়েন জিতেন্দ্র-জায়া।