Trinamool Congress: বালুরঘাটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?
ধৃত তৃণমূল নেতা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নাবালিকাকে নির্যাতনকাণ্ডে পলাতক দক্ষিণ দিনাজপুরের আইএনটিটিইউসি'র প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বাহুবলী নেতা রাকেশ শীল। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে নির্যাতনের মামলায় হুলিয়া জারি করেছে আদালত। এবার ওই নাবালিকাকেই অপহরণের অভিযোগে জেলে যেতে হল বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূলের আরও এক বাহুবলী নেতা লগিন দাসকে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বালুরঘাটের (Balurghat) রাজনৈতিক মহলে লগিন দাস অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত। তিনি ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। তাঁর স্ত্রী মনোরমা দাস জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। এছাড়াও বালুরঘাট পুরসভার কাজকর্মেও তাঁর প্রভাব ছিল অনস্বীকার্য। তিনি জেলা ঠিকাদার সংস্থার দীর্ঘদিনের সম্পাদকও ছিলেন। ফলে একদিকে ব্যবসা, অন্যদিকে রাজনীতিতে প্রতিপত্তি, লগিন দাসকে বেতাজ বাদশা করে তুলেছিল। তাঁর বিরুদ্ধেে খুন, জলা জমি ভরাট ইত্যাদি নানা মামলা রয়েছে। এরই মধ্যে গত জুলাই মাসে হিলির এক নাবালিকাকে অপহরণ ও মারধরের মামলা তাঁর বিরুদ্ধে হয়েছিল। ওই নাবালিকার করা পস্কো মামলায় ইতিমধ্যেই পলাতক রয়েছে আরও এক বাহুবলী নেতা। ওই নাবালিকারই দাদা ও বউদির করা পৃথক দুটি মামলাতে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই মামলায় লগিন দাসও অভিযুক্ত। ওই মামলাতেই লগিন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন
বালুরঘাট (Balurghat) শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ও রাজ্য নেত্রী জয়া দত্তের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজয়া সম্মিলনী। ওই অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তথা বাহুবলী নেতা লগিন দাস। বিজয়া সম্মিলনী থেকে বাড়ি ফিরতেই তাঁকে গ্রেফতার করল বালুরঘাট থানার পুলিশ। রাতেই তাঁকে হিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। হিলি থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় লগিন দাসকে। তাঁকে বালুরঘাট জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বিজেপি (Balurghat) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, এরা সব নেতা নন, দুষ্কৃতী। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে সমাজকে দূষিত করে চলেছে। এদের জায়গা জেলখানা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথেই চলবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।