BJP: নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতে নেই পরিকাঠামো, বন্ধের দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক
নেশামুক্তি কেন্দ্র (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও আবাসিককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে, আবার কখনও নেশামুক্তি কেন্দ্রে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তেতে উঠেছে এলাকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) জেলা জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রচুর। তবুও, প্রশাসন কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ। নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায়। কোন লাইসেন্সের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এসব নেশামুক্তি কেন্দ্র, কে দিয়েছে অনুমতি, কিছুই জানা যায় না। স্বাস্থ্য দফতর, সমাজকল্যাণ দফতর থেকে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে এই অভিযোগ ঘুরপাক খায়। এসব নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন গঙ্গারামপুরের বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায়।
এক সরকারি আধিকারিক বলেন, একটি দোতলা বা তিনতলা বাড়ি, সেখানে ঝাঁ চকচকে অফিস ঘরে মাদক নিয়ে সচেতনতার প্রচার সংক্রান্ত ইংরেজিতে লেখা পোস্টার বা ছবি। তাতেই চালু হয়ে যাচ্ছে নেশামুক্তি কেন্দ্র। সঙ্গে রয়েছে সংস্থার নাম আর ফোন নম্বর। মৌখিক প্রচারেই মাদকাসক্তদের পরিবারের যাতায়াত শুরু হয় সেখানে। মাসে মাসে মোটা টাকা রোজগার করছে সংস্থাগুলি। ভিতরে কী পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে কোনও চিকিৎসক আছেন কিনা, রোগীর পরিবার সেসব বিষয়ে কিছুই জানতে পারেন না। এমনকী রোগীর সঙ্গে নিয়মিত দেখা করানোর কথা থাকলেও তা মানা হয় না। এই গোপনীয়তার সুযোগেই বাড়ছে অপরাধ। প্রায়শই কেন্দ্রগুলি থেকে রোগীমৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে।
আরও পড়ুন: "তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না," বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির
মাসকয়েক আগে বালুরঘাট হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনের রাস্তায় একটি মৃতদেহ পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কারা দেহ ফেলে গিয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করতেই জানা যায়, পতিরামের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে মৃত এক আবাসিককে সেখানে ফেলে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষই। ওই ঘটনার তদন্ত শেষ না হতেই গত শনিবার আরও একটি কেন্দ্রে এক আবাসিকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই অসুস্থ আবাসিককে বালুরঘাট (Balurghat) হাসপাতালে ভর্তি না করে রায়গঞ্জের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এতেই উঠেছে প্রশ্ন।
গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় জানাচ্ছেন, 'জেলায় অনেক নেশামুক্তি কেন্দ্র আছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। খবর এসেছে, বহু কেন্দ্রে রোগীদের মারধর, অত্যাচার করা হয়। নেই কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা ফার্মাসিস্ট। আবাসিকদের বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে। এসব কেন্দ্র বন্ধ হোক।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।