Sukanta Majumdar: বালুরঘাটে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিই মডেলে তৈরি হচ্ছে গোডাউন, কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?
সাইলো গোডাউন (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ভারতীয় রেলের উদ্যোগে বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে তৈরি করা হচ্ছে সাইলো গোডাউন। সেখানে জলীয় বাষ্পমুক্ত অবস্থায় খাদ্যশস্য রাখা হবে। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া শেষ হলে বাংলাদেশে -পণ্য রপ্তানিতে এই উদ্যোগ ফলদায়ী হবে বলে জানান বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিই মডেলে তৈরি হচ্ছে সাইলো গোডাউন (Balurghat)। সাইলো গোডাউনের ঘরগুলি সাধারণত লম্বা, নলাকার হয়। যা ওপরের দিক থেকে লোড করা হয়। এটি শস্যের একটি স্থিরাবস্থা নিশ্চিত করে। এক জায়গায় জমা হওয়ারও কোনও সুযোগ নেই। ট্রেন থেকে শস্য লোড করার জন্য সুবিধাজনক এই অত্যাধুনিক গোডাউন। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় রেল এবং ফুড -কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এই গুদাম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। লম্বা চিমনির মধ্যে দিয়ে মালগাড়ি সরাসরি গোডাউনের ভিতরে খাদ্যশস্য লোড করতে পারবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে -আনলোডও হবে। জলীয় বাষ্পমুক্ত অবস্থায় থাকায় খাদ্যশস্য দীর্ঘদিন সাইলো গোডাউনে মজুত রাখা যাবে। বালুরঘাট স্টেশন সংলগ্ন রেলের ৪০ একর জমিতে এই গোডাউন তৈরি করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য হায়দরাবাদের একটি কোম্পানি ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন
হায়দরাবাদের ওই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখানে মোট তিনটি সাইলো গোডাউন তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য দীর্ঘ সময় ধরে মজুত করা যাবে। বালুরঘাটের (Balurghat) ধাউল ও বোয়ালদের মৌজায় রেললাইনের পাশেই এই গোডাউন তৈরির প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণ প্রকল্প সম্পূর্ণ হলেই বাংলাদেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করা সহজ হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ হয়ে অসম মেঘালয় সহ বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া যাবে।
এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, "দক্ষিণ দিনাজপুরের তিনদিকে বাংলাদেশ। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণের কাজ হয়ে গেলে শুধু বাংলাদেশে রপ্তানি নয়, বাংলাদেশ হয়ে তুরা পর্যন্ত খাদ্যশস্য নিয়ে যাওয়া যাবে। হিলি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর হবে। রেল দফতরের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, পিপিপি মডেলে সাইলো গোডাউন তৈরি হচ্ছে। যা তৈরি হয়ে গেলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। এই জেলার অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে।"
জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর হিলি-তুরা করিডরের আহ্বায়ক নবকুমার দাস বলেন, "সাইলো গোডাউনে জলীয় বাষ্প বাঁচিয়ে খাদ্যশস্য কয়েক বছর সংরক্ষণ করা যায়। এখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে মেঘালয়। অনায়াসে এই রাজ্যে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেওয়া যাবে। ভারত সরকারের অনেকটা আয়ের পথ খুলে যাবে। এই প্রকল্পের ওপর কেন্দ্রের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত"।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।