Indian Fishermen: অশান্ত বাংলাদেশ, গত দুমাসে কত ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করল জানেন?
বাংলাদেশে আটক মৎস্যজীবী। দুশ্চিন্তায় পরিবারের লোকজন (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ৯৫ জন ভারতীয় জেলেদের ভাগ্যের ওপর দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে। সামুদ্রিক সীমানা অতিক্রমের অভিযোগে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেফতার হওয়া এই জেলেরা বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আতঙ্কে পরিবারের লোকজন।
জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ ও নামখানার (Bangladesh) জেলেদের আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৩ অক্টোবর, যখন ৩১ জন জেলেকে আটক করা হয়। একইসঙ্গে দুটি নৌকা, ‘মা বাসন্তী’ এবং ‘জয় জগন্নাথ’ কে আটক করা হয়। এরপর ১৪ অক্টোবর ‘অভিজিৎ’, ‘অভিজিৎ-৩’ ও ‘নারায়ণ’ নামের তিনটি নৌকাসহ আরও ৪৮ জেলেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর নভেম্বর মাসে ফের নতুন করে আরও ১৬ জন মৎস্যজীবীকে (Indian Fishermen) গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য রওনা দিয়েছিল ‘এফবি ঝড়’ নামক ট্রলারটি। কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট এলাকা থেকে এটি যাত্রা শুরু করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। এরপর ২২ নভেম্বর তাদের আটক করা হয়। ধৃত সব মৎস্যজীবীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর
কাকদ্বীপের (Bangladesh) পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার বাসিন্দা তেজেন্দ্র মাঝিকে আটক করেছে বাংলাদেশের প্রশাসন। বিষয়টি জানতে পেরে উদ্বেগে রয়েছেন পরিবারের লোকজন। কাকদ্বীপের অক্ষয় নগর বসন্তপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসও বাংলাদেশের জেলে রয়েছেন। তিনি পরিবারের একমাত্র কর্মঠ ছিলেন। ছোট্ট একটি দরমার ঘরে কোনও ক্রমে ত্রিপল ঘিরে মা-বোনকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন। হঠাৎ করে বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে আটকে পড়ে প্রসেনজিৎ সেই খবর পরিবারের কাছে এসে পৌঁছাতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। হাউ হাউ করে কাঁদছেন প্রসেনজিতের মা। কিছু বলতে পারছেন না। অক্ষয় নগর বসন্তপুরের বাসিন্দা রাধা দাস। মাসখানেক আগেই তাঁর স্বামী মাছ ধরতে গিয়ে আটকে পড়েন বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে। এবার তাঁর ভাই অভি দাস গিয়েছিলেন মাছ ধরতে, তিনিও আটকে পড়েন বাংলাদেশের জেলে। স্বামী ও ভাই দুজনে আটকে পড়ায় এখন দিশেহারা এই পরিবার।
দক্ষিণ ২৪-পরগনা জেলার জেলেদের সংগঠন সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবি শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘আমরা জেলেদের মুক্তির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যাইহোক, আমরা জানতে পেরেছি যে তাদের (বাংলাদেশে বন্দি জেলেদের) বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। জেলেদের আইনি সহায়তা দিতে আমরা আমাদের লোক পাঠিয়েছি বাংলাদেশে (Bangladesh)। কিন্তু সেখানে বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।