Militant: বাংলাদেশের জেল থেকে পলাতক জঙ্গিরা কি ভারতে? কী বলল পুলিশ?
শিলিগুড়ির চিকেনস নেকই টার্গেট ছিল জঙ্গিদের (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) জেল থেকে পলাতক জঙ্গিরা কি ভারতে? বাংলাদেশে অস্থিরতার মধ্যেই ভারতে ধরা পড়েছে আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-র ৮ জঙ্গি। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার শাখা সংগঠন বাংলাদেশের 'আনসারুল্লা বাংলা'। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর, যা চিকেন্স নেক নাম পরিচিত, সেটাই ছিল আল কায়দার শাখা সংগঠনের টার্গেট! বাংলা, অসম, কেরল থেকে ৮ জঙ্গি গ্রেফতারে এমনটাই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, অগাস্টে বাংলাদেশে অস্থিরতার শুরু। নভেম্বরে ভারতে মহম্মদ শাদ রদির অনুপ্রবেশ। কেরল থেকে গ্রেফতার মহম্মদ শাদ রদি, বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দা। আনসারুল্লা বাংলার প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির ঘনিষ্ঠ ইসরাতের নির্দেশেই অনুপ্রবেশ। এছাড়া মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার মণিরুল শেখ, মহম্মদ আব্বাস আলি নামে দুই জঙ্গি।
শিলিগুড়ির এই করিডর অর্থাৎ যাকে 'চিকেন্স নেক' বলা হয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে পূর্ব তথা দেশের বাকি অংশের যোগসূত্র স্থাপন করে। সেই করিডর ব্যবহার করেই ওপার বাংলার (Bangladesh) জঙ্গিরা (Militant) এপার বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ করতে চাইছে। এমনটাই জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। গোপনে অস্ত্র সংগ্রহ এবং স্লিপার সেলের মাধ্যমে ভারত-বিরোধী কাজে সক্রিয় হয়ে উঠতেই ওই অংশটি ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে। সুপ্রতীম জানিয়েছেন, অসম পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ মিলে এই তদন্ত করছে। ধৃতদের জেরা করে এবং যে জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে আপাতত এইটুকু বলা যায় যে, ওপার বাংলা থেকেই এপার বাংলায় স্লিপার সেল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। একই সঙ্গে, জামাত এবং এবিটি'র মতো জঙ্গি সংগঠন ফের একবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাও জারি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছেই বাংলাদেশে, ফের তিন মন্দিরে হামলা, ভাঙা হল ৮ মূর্তি
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে যাদের পাকড়াও করা হয়েছে তারা হল আব্বাস আলি ও মণিরুল শেখ। ধৃতদের কাছ ছেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েকটি মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, নথিপত্র। সেগুলি সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সবকিছু পর্যবেক্ষণের পরে পুলিশের স্পষ্ট ধারনা দুজনেই এই রাজ্যে জঙ্গি মডিউল তৈরির ছক কষেছিল। অসম ও বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক কষছিল ধৃত জঙ্গিরা। বাংলাদেশ (Bangladesh) ও পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মহম্মদ শাদ রদির। বাজেয়াপ্ত ৪টি পেনড্রাইভ, বাংলাদেশি সার্টিফিকেট-সহ একাধিক ভারত-বিরোধী নথি। আরএসএস-এর কয়েকজনকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল, দাবি অসম পুলিশ সূত্রের। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যতই অশান্ত হচ্ছে, মৌলবাদী- কট্টরপন্থীদের দাপট যত বাড়ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে! পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি পাসপোর্ট বাংলাদেশিদের হাতে যাওয়া, বাংলাদেশি জঙ্গির ধরা পড়া, পরপর এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ-আতঙ্ক চরমে উঠছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।