Anwarul Azim Anar: বাংলাদেশের সাংসদ খুনে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতীকী চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও উদ্ধার হয়নি বাংলাদেশের নিহত সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের (Anwarul Azim Anar) দেহ কিংবা দেহাংশ। এরই মাঝে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য (Bangladesh MP Murder)। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর সাংসদের মাথার খুলি ফাটিয়ে মোট চার টুকরো করা হয়। মাথার চামড়া ছাড়িয়ে আলাদা করা হয়। পেশাদার খুনিদের মতোই সাংসদ খুনের ঘটনায় নিখুঁত পরিকল্পনা ছিল আমানুল্লাদের। ক্লোরোফর্ম, চপার, ট্রলি ব্যাগ, পলিথিনের প্যাকেট জোগাড় করে সেই পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল কসাই জাহিরকে। সঙ্গে রাখা হয় খুনী দলের আরও তিনজনকে। যারা দেহ লোপাট করার বিষয়ে সাহায্য করেছিল।
বাংলাদেশের সাংসদ খুনের (Bangladesh MP Murder) ঘটনায় তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে তা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন ওর রশিদ। তিনি বলেন, “সিআইডি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। কসাই নিউটাউনের যে খালটার কথা বলেছে, যেখানে মৃতদেহ ফেলা হয়েছে সিআইডি সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। যে ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে সাংসদকে (Anwarul Azim Anar) সেই ফ্ল্যাটের নিকাশি লাইন ভাঙতে বলা হয়েছে। সেখানেও চেক করা হবে। ধৃত অভিযুক্তদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য উঠে এসেছে তার ভিত্তিতে কাজ চলছে। বিভিন্ন ডিজিটাল এভিডেন্স হাতে এসেছে। বাংলাদেশে যারা গ্রেফতার হয়েছিল তাঁদের কাছ থেকে যে তথ্য এসেছিল এখানে মিলিয়ে দেখা হয়েছে। ডিজিটাল এভিডেন্সের সঙ্গে অনেকটাই মিল আছে।”
গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে এসেছে, সাংসদের (Anwarul Azim Anar) দেহ থেকে মাংস ও হাড় আলাদা করার পর মাংস ছোট আকারে করে কেটে তা সরানোর দায়িত্ব দেওয়া হোয়েছিল অভিযুক্ত আমানুল্লা, ফয়জল এবং জাহিরের কাঁধে। সেই কাজে তাদের সাহায্য করেন শিলাস্তিও। মুস্তাফিজুরের দায়িত্ব ছিল হাড় এবং মাথা সরিয়ে ফেলা। যাতে তা কোনও ভাবে দেহাংশ খুঁজে না পাওয়া যায়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মুস্তাফিজুর সেগুলি ব্যাগে ভরে শাসনের দিকে গিয়ে সেখানেই ভেড়িতে ফেলে দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাট এলাকায় দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছে ধৃত জিহাদ। ধৃতকে জেরা করে গোয়েন্দাদের দাবি, সাংসদের দেহাংশ এবং হাড়-মাথা ফেলা হয়েছে ২ জায়গায়। অন্যদিকে মঙ্গলবার একোয়াটিকা সংলগ্ন খালেও (Bangladesh MP Murder)।
সিআইডির চাঞ্চল্যকর দাবি, ঢাকা পুলিশের হাতে ধৃত আমানুল্লাই সাংসদকে খুনের (Bangladesh MP Murder) জন্য লোক নিয়োগ করেছিল। যিনি বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের বাল্যবন্ধু খুনের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামানের পরিচিত। আখতারুজ্জামান এখন পালিয়েছে আমেরিকায়। তাঁর হয়ে কাজ করছিল বন্ধু আমানুল্লা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বাংলাদেশি সাংসদ হত্যাকাণ্ডে নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সাহায্য
নিউটাউনের আবাসনে যেখানে খুনের ঘটনা ঘটে, সেই ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন ওর রশিদ। তিনি ভিডিও কলে কথা বলেন আমানুল্লার সঙ্গে। কীভাবে নারকীয় হত্যাকাণ্ড (Bangladesh MP Murder) ঘটানো হয়েছে, তা জানার পর ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকায় যান তিনি। বাংলাদেশের সাংসদকে (Anwarul Azim Anar) খুন করে এখানেই দেহ বা দেহাংশ ফেলা হয় বলে অনুমান পুলিশের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।