Kolkata: চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ডাকে রাজপথে সনাতনীরা
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) হিন্দুদের ওপর লাগাতার নির্যাতনের প্রতিবাদে ও ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবিতে কলকাতার রাস্তায় বিশাল মিছিল করল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। আর তাতে সামিল হল একাধিক হিন্দু সংগঠন। আর সেই প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ডাকে বৃহস্পতিবারের এই মিছিলে (Bangladesh Protest) অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। মূলত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন সনাতনীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিভিন্ন মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা। মিছিলে যোগদান করেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক থেকে দলের নেতা-কর্মীরা। শিয়ালদা (Kolkata) থেকে মিছিল শুরু হয়। বেকবাগানের কাছে পুলিশ মিছিল আটকাতে ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে জগদীশচন্দ্র বসু রোড ধরে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাছাকাছি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তারপরই বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এক পুলিশকর্মী আহত হন। ব্যারিকেডের নীচে চাপা পড়ে আহত হন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হয়রানির শিকার আরও এক হিন্দু সন্ন্যাসী, এবার গ্রেফতার সন্ত মহারাজ স্বরূপ দাস
মিছিল থেকেই হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে উঠছে স্লোগান। মিছিলের আয়োজকদের বক্তব্য, অবিলম্বে বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না করা হলে বড়সড় আন্দোলনে নামবে এখানকার হিন্দুরা। প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আন্দোলনের জেরে গত অগাস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে সে দেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ইউনূসের সরকার। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশের সরকারের প্রতি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের জোরালো অভিযোগ সামনে এসেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।