Galsi: পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাড়ি ফিরলেন ডাক্তারি পড়ুয়া মৌসুমী, উত্তাল বাংলাদেশের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি
বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসার পর পরিবারের সঙ্গে মৌসুমী মণ্ডল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। দেশ জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। পুলিশের গুলিতে শতাধিক পড়ুয়ার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে। পূর্ব বর্ধমানে গলসির (Galsi) মৌসুমী মণ্ডল আরও অনেকের সঙ্গে এই ক'দিন রাত জেগেই কাটিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী গলসি ১ ব্লকের (Galsi) রাইপুরের (Bangladesh Protest) বাসিন্দা। তাঁর বাবা জাহির আব্বাস মণ্ডল একজন রাজনৈতিক কর্মী। খুলনা শহরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী মৌসুমী। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে বাংলাদেশে রয়েছেন তিনি। দেশে ফেরার পর তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তিনি পরিবারের সকলকে বলেছেন। তিনি বলেন,"এত বছরে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। ইন্টারনেট বন্ধ। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। বহু এলাকায় খাবার ছিল না। টানা সাত দিন হস্টেলে বন্দি। তার পরে হস্টেল থেকেও বলে দেওয়া হয় দ্রুত শহর ছাড়তে। কিন্তু, ফিরব বললেই তো আর ফেরা যায় না। কোনওরকমে আরও ১৫০ জন ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে বাসে করে পেট্রোপোল সীমন্ত দিয়ে দেশে ফিরি। প্রথমদিকে হোটেল থেকে রান্না করা খাবার পাচ্ছিলাম। শেষ দু'দিন কার্ফু জারি হওয়ায় পর আমাদের কাছে সামান্য কিছু শুকনো খাবার, বিস্কুট ছিল। আর আমরা অনেকে ছিলাম। বলা যেতে পারে, দুদিন অনাহারেই রাত কাটিয়েছি। আমাদের হস্টেলের পাশের ভবনেই ভারতীয় হাই কমিশনার থাকেন। ওই বাড়িটা আমাদের সাহস জুগিয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছাই আমরা।"
আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ
মৌসুমীর বাবা জাবির আব্বাস বলেন, "আর কয়েক মাস গেলেই মেয়ে চিকিৎসক ডিগ্রি পেত। জানি না কি হবে। তবে মেয়েকে ফিরে পেয়ে শান্তি। মেয়ে ফিরে আসার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।