America: আমেরিকার কর্মশালায় যোগ দেবেন বাঁকুড়ার দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অয়ন…
দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অয়ন দেঘরিয়া। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়া (Bankura) থেকে আমেরিকা পাড়ি দেবেন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অয়ন। মহাকাশ নিয়ে বরাবর আগ্রহ ছিল তাঁর। আকাশ গঙ্গার নানা রহস্য নিয়ে পড়াশুনা করতে এবং ভাবতে প্রছন্দ করতেন তিনি। আমেরিকার আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনাইটেড স্পেস রকেট সেন্টারের কর্মশালায় যোগদান করবেন তিনি। তাঁর এই সাফল্যে জেলায় খুশির আবহ এবং পরিবার উচ্ছ্বসিত।
বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনার একটি গ্রাম কমলপুরের বাসিন্দা অয়ন দেঘরিয়া। সেখানেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসাবে গ্রামে খ্যাত হয়েছেন তিনি। অঙ্ক, বাংলা, ইংরেজি থেকে মহাকাশ নিয়ে বেশি পড়াশুনা করতে ভালোবাসতেন তিনি। এই মহাকাশ ঢাকা হাজার একটা রহস্যে। স্টিফেন হকিং-এর লেখায় তিনি দারুণ ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। নানা গল্পের মধ্যে দিয়ে নিজের স্বপ্নের ভুবন তৈরি করেছিলেন তিনি। অবশেষে ডাক পেলেন। অয়নের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে নানা পদক্ষেপ করেছেন অয়ন। এবার আমেরিকার আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনাইটেড স্পেস রকেট সেন্টারে ওই কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাঁর নির্বাচিত প্রজেক্টে পাড়ি দেবে ইন্টারন্যশানাল স্পেস স্টেশনে।
এই সুযোগের কথা বলতে গিয়ে অয়ন (Bankura) বলেছেন, “মহাকাশ বর্জ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলাম ২০২২ সালে থেকে। আমার মনে হয়েছিল, যদি এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা না করা হয় সেক্ষেত্রে একটা সময় স্যাটেলাইট পাঠানোর জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে কী ভাবে তা পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, সেই বিষয়টি ভেবে দেখতে চেয়েছিলাম আমি। ২০২২ সালের নভেম্বরে এই কাজ শুরু করে ছিলাম। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে দেরাদুনের উইনিভার্সিয়াটি অফ পেট্রোলিয়াম এনার্জি স্টাডিজে আমার এই প্রজেক্ট উপস্থাপনা করি। সেখানে ন্যাশনাল স্পেস কনভেনশেনে আমার প্রজেক্ট উপস্থাপন করি। পরে আরও অনেক কাজ করি। শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনাইটেড স্পেস রকেট সেন্টারের কর্মশালায় যোগদেওয়ার সুযোগ পাই।”
অয়নের মা শিপ্রা দেঘরিয়া বলেছেন, “ছেলে ছোট বেলা থেকে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে চাইতো। কিন্তু ছেলের মেধার সামনে পরিবারের (Bankura) আর্থিক সঙ্কট একটা বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাবা তো সামান্য টাকায় একটা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস। যাতায়াতে আনুসঙ্গিক খরচ হবে অনেক। সবটা মিলিয়ে টাকা জোগাড় করা খুব মুশকিল।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।