BJP: ‘‘ওরাই পালাতে সাহায্য করেছে অভিযুক্তদের’’, বাঁশদ্রোণীকাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ স্থানীয়দের, থানা ঘিরে চলছে বিক্ষোভ...
যতদিন না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ততক্ষণ আমি বসে থাকব এখানে, হুঁশিয়ারি রূপার (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পে লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু, আর তাতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁশদ্রোণী (Bansdroni Agitation)। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দেন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় দেখা মেলেনি স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের। অবশ্য বিরোধীদের দাবি, ঘটনাস্থলে না এলেও তিনি নাকি থানায় ‘পুলিশি নিরাপত্তায়’ রয়েছেন। রাস্তার বেহাল দশা নিয়েও সরব স্থানীয়রা। পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে দফায় দফায়। পরে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষালকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় পুলিশকে। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই সময় তৃণমূল কর্মীরা স্থানীয়দের ধাক্কা দিয়ে পুলিশকে সরায় বলে অভিযোগ। এরপর বিকালে কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে গেলে শুরু হয় ধরপাকড়। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় পাটুলি থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি (BJP) নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানায় (Bansdroni Agitation) পৌঁছান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। থানার ভিতরে প্রবেশ করেন রূপা। বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ‘‘কোনও অভিযোগ ছাড়াই বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডলকে আটক করে বাঁশদ্রোণী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।’’ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘(বুধবার) সকাল থেকে ওঁরা ধরতে পারেননি অভিযুক্তদের। তবে আমি আশা করছি ওঁরা ধরে ফেলবেন। যতদিন না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ততক্ষণ আমি বসে থাকব এখানে।’’ তিনি জানান, রাতে এক বার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু, অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই পড়ুয়া কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওই এলাকার রাস্তায় (Bansdroni Agitation) খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। অভিযোগ, কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময়ই ছাত্রকে ধাক্কা মারে জেসিবি। গাছের সঙ্গে তাকে পিষে দেয়। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ছাত্রকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।