RG Kar Incident: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বারাসত মেডিক্যালে দায়িত্ব নিতেই তুমুল বিক্ষোভ, কী বললেন পড়ুয়ারা?
বারাসত মেডিক্যালে আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়ারা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা মেডিক্যালের আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল এবার বারাসত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে বারাসত মেডিক্যালে বদলি করা হয়েছে। বারাসতে অধ্যক্ষ হিসেবে কাজে যোগ দিতেই তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন শুরু করলেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। আরজি করে শীর্ষ পদাধিকারীদের যে সব মেডিক্যালে বদলি করা হচ্ছে, সেখানেই আন্দোলন হচ্ছে। ফলে, চরম বিড়ম্বনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
বুধবার রাতের দিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছিলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষের পাশাপাশি নবনিযুক্ত সুপার-কাম-ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি), চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং অ্যাসিসট্যান্ট সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারাসত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বুধবারই সুহৃতা পালের নাম ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি জানার পরই তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। ফলে, বৃহস্পতিবার তিনি কাজে যোগ দেননি। শুক্রবার সকালের দিকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে এসে অধ্যক্ষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। কিন্তু, বিকেল গড়াতেই তাঁর অপসারণ চেয়ে একদল পড়ুয়া প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হয়ে যান হাসপাতালের গেটের সামনে। আওয়াজ তোলেন, ‘‘বারাসত মেডিক্যাল কলেজকে আরজি কর হতে দেব না। সুহৃতা পাল গো-ব্যাক। বারাসত ছেড়ে চলে যাক।’’ যদিও এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল।
এর আগে, আরজি করের এক অধ্যাপক চিকিৎসককে মালদা মেডিক্যালে বদলি করা হয়। আর ওই চিকিৎসক যাতে কাজে যোগ দিতে না পারে, তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সেখানকার পড়ুয়ারা। সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও এক পন্থা অবলম্বন করেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। রাতারাতি ‘পুরস্কার বদলি’ করে ন্যাশনাল মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। এর পরই, ন্যাশনাল মেডিক্যালে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। চিকিৎসক-পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, সন্দীপকে তাঁরা সেখানে ঢুকতে দেবেন না। এমনকী, অধ্যক্ষের ঘরে তালাও লাগিয়ে দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি ছিল, ন্যাশনাল মেডিক্যালের পরিবেশ দূষিত হোক, তাঁরা চান না। মালদা মেডিক্যালে দেখা যায় একই চিত্র। এরার বারাসত মেডিক্যালও সেই ছবি।
আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন মধ্যরাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে তাণ্ডব চালায় সেখানে। হামলায় রীতিমতো তছনছ হয়ে যায় আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ঘর। সেই সময় আরজি করের অধ্যক্ষ হিসেবে সবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সুহৃতা পাল। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের পরও সেদিন একবারের জন্যও হাসপাতালে দেখা যায়নি তাঁকে। তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুরু হয় তাঁর অপসারণ চেয়ে আন্দোলন। আন্দোলনের জেরে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বারাসত (Barasat) মেডিক্যালের আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘আমরা ওই অধ্যক্ষকে চাই না। আর জি করে এতবড় কাণ্ড হল। তাঁকে দেখা যায়নি। এরকম অধ্যক্ষ আসলে এখানকার পরিবেশ নষ্ট হবে। আমরা তা হতে দেব না।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।