মায়াপুর ইসকনে শুরু হয়েছে দীপদান অনুষ্ঠান, চলবে রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত
মায়াপুরে ইসকন মন্দিরে চলছে দীপদান উৎসব। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে মায়াপুর ইসকনে শুরু হয়েছে দীপদান অনুষ্ঠান, চলবে রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত। এক মাস ধরে চলা বিশ্বব্যাপী এই অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই দীপদান করতে আসেন ইসকন মন্দিরে (Iskcon Mayapur)। অনুষ্ঠান চলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। একই সাথে চলবে দামোদরাষ্টকম্ স্ত্রোত্র পাঠ। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার মানুষ, দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত সমবেত হন। একে ঘিরে দীপাবলির আগেই ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠল শত শত দীপ। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, দীপদান উৎসব উপলক্ষ্যে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।
কীসের স্মরণে এই উৎসব?
সর্বোপরি ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা, বিধান তথা সেবার বিশেষ সুযোগ লাভ করা যায় এই উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে। যার ফলে জীবনের পারমার্থিক প্রগতি লাভ হয়। সনাতন ধর্মে যত প্রকার উৎসব আছে তার মধ্যে দীপাবলি অন্যতম। বিজয়া দশমীর কুড়ি দিন পর থেকে উদযাপিত হয় এই উৎসব (Iskcon Mayapur)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, ত্রেতা যুগে রাবনকে বধ করার পর যখন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র তাঁর নিজ রাজ্য অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করছিলেন, তখন রাজ্যবাসী অর্থাৎ অযোধ্যাবাসীগণ তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। সমগ্র অযোধ্যা নগরীকে আলোকমালায় সজ্জিত করে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। আর তারই স্মরণে এই উৎসব পালিত হয় বলে অনেকে মনে করেন।
ইসকন মন্দিরে ভক্তদের উন্মাদনা
আবার পদ্মপুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে কার্তিক মাসের এই বিশেষ তিথিতে যদি কেউ উন্মুক্ত আকাশের নিচে প্রদীপ জ্বালান, তাহলে তিনি পরিত্রাণ লাভ করে হরিধাম প্রাপ্ত হন। এই উৎসবে মধ্য দিয়ে সকলের মনমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হোক আলোর দীপ। অন্ধকার দূরীভূত হোক, শুভ দীপাবলি অনুষ্ঠানে সকলের শুভ কামনা। স্বাভাবিকভাবেই এই উৎসবকে ঘিরে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ভক্তদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো (Iskcon Mayapur)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ