সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৪।
রাজ্যে করোনার গ্রাফ ঊর্ধমুখী
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও তো পুজো শুরুই হয়নি, সবেমাত্র মহালয়া পেরোল, আর তাতেই করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে। মহালয়ার দিনই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই করোনা সংক্রমণও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিনশোর বেশি। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও গত একদিনে দৈনিক পজিটিভিটি রেট (Covid Positivity Rate) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৩১ শতাংশ। ফলে পুজোর শুরুতেই নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহালয়ার দিন রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৪। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতকালের থেকে এদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫০-এরও বেশি। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২১ লক্ষ ১৩ হাজার ২৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। রাজ্যে মোট করোনাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২১, ৮৯৬ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.৮৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০,৮৮,৬২৭ জন। এই মুহূর্তে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩১২৩, যার মধ্যে ৭৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!
তবে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা কম হলেও খুশী হওয়ার কিছু নেই। কারণ অন্যদিকে দৈনিক পজিটিভিটি রেটের (Covid Positovity Rate) ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। প্রায় গত দেড় মাস পর রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৫-এর গণ্ডি পেরোল। অন্যদিকে, রাজ্যে দৈনিক সুস্থতার হারও আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০২ জন।
গত দুবছর করোনার প্রকোপে কেউই কোনও উৎসব সেভাবে উদযাপন করতে পারেনি। ফলে এবছর করোনা দাপট অনেকটাই কমলে সবাই ফের মাস্ক ছাড়া, শারীরিক দূরত্ববিধি না মেনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া মহালয়ার দিন থেকেই যে পরিমাণে প্যান্ডেলে ভিড় বাড়ছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। ফলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন, করোনার বিধিনিষেধ এখন থেকে না মেনে চললে ফের করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। তাই তাঁদের পরামর্শ যে, উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বন করাও জরুরি। এছাড়াও শুধু করোনা নয়, এবছর রাজ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ডেঙ্গিও।