একাধিক সাক্ষীর বয়ানে মলয় ঘটকের নাম উঠে এসেছে। মলয় ঘটককে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনবার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তথ্য মিলছে না। তিনি তথ্য গোপন করেছেন বলে অনুমান
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal scam case) ফের রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে চতুর্থবার তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও (Sushanta Mahato)। তাঁদেরকে শুক্রবার সকাল ১১টায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এবং মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে মলয় ঘটকের নাম উঠে এসেছে। মলয় ঘটককে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনবার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তথ্য মিলছে না। তিনি কিছু গোপন করছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই আবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চেকপোস্টে আটকে কয়লা, "ভাইপো ভ্যাটে"র অপেক্ষায়? প্রশ্ন শুভেন্দুর
কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি যাচাই করতে গিয়ে সুশান্ত মাহাতোরও নাম মিলেছে। এমনকী অনুপ মাজি তথা লালার দফতরে হানা দিয়ে যে নথি মেলে সেখানে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়কের নাম রয়েছে। এই কারণে তাঁকেও তলব করা হয়। প্রয়োজনে সুশান্ত মাহাতো এবং মলয় ঘটককে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে। সুশান্ত মাহাতো পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক। আর লালার বাড়ি এবং কর্মস্থল ওই এলাকায়। সেখানে একাধিক খনি রয়েছে। সুতরাং একটা যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাঁরা।
গতবছর ১৬ সেপ্টম্বর পুরুলিয়ায় এক সাংগঠনিক সভায় গিয়েও সুশান্তর কয়লা কাণ্ডে জড়িত থাকা নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী গত ১১ জুন পুরুলিয়ার বলরামপুরে জনসভা করতে গিয়েও বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে সুশান্তর যোগ আছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্যি কিনা, তা ইডির জেরার পরেই বোঝা যাবে। তবে, যা রটে,তার কিছুটা তো বটে, অভিমত রাজনৈতিক মহলে।