Recruitment Scam: শনিবার পঞ্চায়েত ভোট, তার আগেই কি সায়নীকে তলব করতে চলেছে ইডি?
কুন্তল ঘোষ ও সায়নী ঘোষ (ছবি-ফাইল)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার তাঁর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। বলা হয়েছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ঋণের কাগজ সহ আয়-ব্যয়ের যাবতীয় নথি নিয়ে হাজির হতে। কিন্তু, হাজির তো হননি-ই, উল্টে ‘অসম্পূর্ণ’ নথি পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ‘অসন্তুষ্ট’ ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসূত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হাজিরার জন্য সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh) সমন পাঠায় ইডি। গত শুক্রবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ১১-ঘণ্টা ধরে জেরা করার পর বুধবার নথি সহ হাজির হতে বলা হয়। নিয়োগকাণ্ড (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সায়নীর আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। কুন্তলের থেকে সায়নী কোনওভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন কিনা, বা কুন্তলের টাকা সায়নীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল কিনা, তা দেখতেই সায়নীকে বুধবার তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্কের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়নীকে আয়কর জমা দেওয়ার ফাইল এবং সম্পত্তির হিসাব নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। যুবনেত্রীর যত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার তথ্য এবং লেনদেনের নথিও নাকি আনতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি, তিনি ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে যে দাবি করেছেন, তার কাগজপত্রও আনতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৯২৯টি পদে শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে
কিন্তু, গতকাল, অর্থাৎ বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সায়নী (Saayoni Ghosh) ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। তিনি আইনজীবীর হাত দিয়ে ৫৩০ পাতার নথি পাঠিয়ে দেন। নিজে চলে যান পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে। ইডি সূত্রে খবর, সায়নীর পাঠানো নথি পরীক্ষা করে দেখা যায় যে সেগুলি ‘অসম্পূর্ণ’। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের নামে থাকা ফ্ল্যাটের নথি জমা দিলেও, মায়ের নামে কেনা ফ্ল্যাটের কোনও নথি জম দেননি তিনি। সূত্রের খবর, মায়ের নামে যে ফ্ল্যাটটি সায়নী ঘোষ কিনেছিলেন তখন তিনি ২০ লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছিলেন। এই টাকার উৎস জানতে চেয়েছিল ইডি। কিন্তু তার নথি পাঠানো হয়নি। পাশাপাশি ‘কলোনি ল্যান্ড’ বলে একটি সম্পত্তিও বিক্রি করা হয়েছিল এর মধ্যে। সেই সম্পত্তি বিক্রির টাকা লেনদেনের নথিও জমা দেওয়া হয়নি, সূত্রের খবর এমনটাই। কোথা থেকে টাকা এসেছিল, কোথায় জমা পড়েছিল, কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) এই ‘অসম্পূর্ণ’ নথি জমা দেওয়া নিয়ে মোটেও ‘সন্তুষ্ট নন’ তদন্তকারীরা। তাঁদের কথায়, "যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল সায়নীকে। সেক্ষেত্রেও কেন সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেননি তিনি?" তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সায়নী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে পাওয়া গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য। ভবিষ্যতে এই তথ্য সামনে রেখে সায়নীকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। সায়নী ইমেলে ইডিকে জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ফলপ্রকাশের পর তাঁকে ডাকলে তিনি সশরীরে হাজিরা দেবেন। তবে আজ নির্বাচনী প্রচার শেষ হচ্ছে। ইডি সূত্রের খবর, নথি নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইতে সায়নীকে আবার তলব করা হতে পারে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।