শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নবদ্বীপধামে সারাবছরই পুণ্যার্থীদের যাতায়াত লেগে থাকে।
দোল উৎসব
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল মানেই বাঙালির চোখের সামনে ভেসে ওঠে শান্তিনিকেতন (Dol Utsab)। কিন্তু এবছরে রবি ঠাকুরের দেশে হচ্ছে না বসন্ত উৎসব। তাতে তো আর বাঙালির উৎসব মাটি হতে পারে না! এ বছর শান্তিনিকেতন নাই বা হল, দোল কাটান রাজ্যের অন্য কোনও ভাটা পড়বে না, এতটুকু বলতে পারি। এই পাঁচ জায়গায় দোল কাটান জমিয়ে।
আরও পড়ুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নবদ্বীপধামে সারাবছরই পুণ্যার্থীদের (Dol Utsab) যাতায়াত লেগে থাকে। তবে দোলে রঙে প্রাচীন এই শহর যেন নতুন করে সেজে ওঠে। আর তাই এই বিশেষ সময় এখানে ভিড় জমান বিভিন্ন প্রান্তের বহু পর্যটক। চলে বিশেষ পুজোপাঠ। আপনিও এই দিনটি কাটিয়ে আসতে পারেন নবদ্বীপে।
নবদ্বীপের উল্টো দিকেই অবস্থিত মায়াপুর। সেখানকার প্রধান আকর্ষণ ইসকন মন্দির। তাছাড়াও ছোটবড় আরও কিছু মন্দির রয়েছে এই মায়াপুরে। এখানকার দোলও খুবই বিখ্যাত। যাঁরা নবদ্বীপ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরাও এক ফাঁকে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মায়াপুর থেকে।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়ির দোল উৎসবও বেশ জনপ্রিয়। রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে আয়োজিত হয় এই বসন্ত উৎসব। শুধু মহিষাদলই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যান্য জায়গা, এমনকী অন্যান্য জেলা থেকেও সেখানে উপস্থিত হন প্রচুর মানুষ।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মন্দিরনগরী নামেও পরিচিত। টেরাকোটার এই শহরের মন্দিরগুলি (Dol Utsab) বরাবরই পর্যটকদের টানে। এই এলাকার প্রধান আরাধ্য দেবতা মদনমোহন। এখানকার দোল উৎসবও খুবই জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপিত হয়। চাইলে আপনিও যেতে পারেন।
পুরুলিয়ার এই নিমদিহিও দোলের সময় পর্যটকদের কাছে এই অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। বসন্তের সময় পলাশের রঙে রেঙে ওঠে পুরুলিয়া। পর্যটকদের কাছে এটাই অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও এখানকার আকর্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম ছৌ-নাচ, ঝুমুর গান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: