img

Follow us on

Thursday, Jan 09, 2025

BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

India-Bangladesh Border: ভারতের ৫ কিমি জমি কি সত্যি বাংলাদেশের দখলে? কী বলল বিএসএফ?

img

সীমান্তে কড়া নজরদারি বিএসএফের (সংগৃহীত ছবি)

  2025-01-08 12:27:30

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় এখন ইউনূস সরকার। যতদিন যাচ্ছে ইউনূস প্রশাসনের কদর্য রূপ বিশ্ববাসীর কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর কত মিথ্যা বলবে বাংলাদেশ? এবার ইউনূসের সেনার মিথ্যার মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ (BSF)। ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিলোমিটার ভূখণ্ডকে 'ভারতের দখলমুক্ত' করা হয়েছে বলেই দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই বিবৃতি দিয়ে জানাল বিএসএফ।

ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক? (BSF)

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিলা সীমান্ত (India-Bangladesh Border) ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে কোদলা বা কোদালিয়া নদী। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নিয়েই বিতর্ক। বিএসএফ (BSF) এবং বিজিবি— উভয়েই তাদের কোদালিয়া নদীর পাশে দায়িত্ব পালন করে। ওই এলাকাটি কাঁটাতার বিহীন হওয়ায়, চোরাচালান এবং সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকে সর্বদাই। বিএসএফ এই এলাকা থেকে আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখন এই এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নগণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দাবি করেছে, এই ভূখণ্ড নাকি তাদের। কিন্তু, সেখানে কোনও বাংলাদেশি মাছ ধরতেও যেতে পারত না। দুই দেশেরই টহল চলে এই এলাকায়। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

নদীতে না নামার হঁশিয়ারি

নদীতে কেউ নামবেন না, কারণ কোদালিয়া নদীটি পুরোপুরি বাংলাদেশের মধ্যে। বাংলাদেশের বিজিবি-র পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী ভারতের সীমান্তের মধ্যে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিএসএফ (BSF) রেঞ্জের অধীনঘাট রংঘাট, কৃষ্ণ প্রতাপপুর সহ একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে। সেই সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের মাঝে একটি কোদালিয়া নদী রয়েছে। এই নদীটি উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে,  দীর্ঘদিন ধরেই সেটা ভারত সীমান্তের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ সেনা মাইক প্রচার করছে সেই নদী নাকি তাদের দখলে। সেই কারণে কোনও ভারতীয় যাতে সেই নদীতে না নামেন, কিংবা না ব্যবহার করেন। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী দীর্ঘদিন ধরেই ভারত সীমান্তর মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই নদী বিভিন্ন স্নানের কাজে অথবা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে আসছেন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফে কিছু সিমেন্টের পিলার ছিল সীমানা নির্ধারিত করার জন্য, সেই পিলারগুলিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুলে দিয়েছে। ভারতীয়রা মনে করছেন, বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সঙ্গে একটি ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভারতের যে অংশ সে অংশ যাতে বাংলাদেশ সরকার কখনও দখল করতে না পারে। সেই কারণেই পাকাপোক্তভাবে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে।

বিএসএফ কী বলল?

বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, ওই এলাকাটি ভারতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা ব্লকের রাংঘাট গ্রামের অন্তর্গত, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত কোদালিয়া নদীর পাশ দিয়ে চলছে। নদীপথের কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে রেফারেন্স পিলার ভালভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ডিউটি প্যাটার্নের কোনও পরিবর্তন হয়নি।

ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি, জানাল বিসিএফ

'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা ১৯৭৫'-এর বোঝাপড়া অনুযায়ী, প্রকৃত স্থল পরিস্থিতি অক্ষুণ্ণ এবং উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ আধিপত্যের অধীন— এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করে তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, গত ১৯ ডিসেম্বর বিজিবি সদস্যরা নদীর ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে মোটর চালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা  টহল শুরু করেছিল। এটি একটি মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়। ৫৮ বিজিবির নবনিযুক্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিক ইসলামের করা মিথ্যা, মন গড়া দাবিগুলি অস্বীকার করা হয়েছে। এই ধরনের নিবন্ধ এবং মিডিয়া রিপোর্ট দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সদ্ভাবকে নষ্ট করবে বলেই সতর্ক করেছে বিএসএফ। পাশাপাশি বিএসএফ আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি বা ভবিষ্যতেও প্রতিপক্ষের দ্বারা দখল করা হবে না।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

West Bengal

BSF

bangla news

Bengali news

India Bangladesh border

Nadia

ranaghat

Md Yunus


আরও খবর


ছবিতে খবর