প্রচুর ডিটোনেটর-অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য!
ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক উদ্ধারে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত থাকার হদিশ পেল পুলিশ। মজুত করা বিষ্ফোরকগুলির মধ্যে রয়েছে জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি থানার বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চলের চন্দননগর গ্রামে। উল্লেখ্য আগেও এক তৃণমূল নেতাকে বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে ছিল। এবারও কী তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে? বিজেপির অবশ্য দাবি, বিস্ফোরক সামগ্রীর আসল মালিক তৃণমূলের নেতারাই। তাই রাজ্যের নয় কেন্দ্রিয় তদন্তকারি সংস্থার দ্বারা তদন্তের দাবিতে তুলেছে বিজেপি।
উল্লেখ্য গত একবছরের বেশি আগে রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন অবৈধ বোমা, অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য। কিন্তু লাভ হয়নি। আবার এগরায় বাজি বিস্ফোরণের পরেও একই নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উপরন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক পরিমাণে বিস্ফোরকের ব্যবহারে ভাঙর থেকে সালার সর্বত্র উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এবারও ফের একবার বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল উঠছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।
গতকাল শুক্রবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নলহাটি (Birbhum) থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে চন্দননগর গ্রামের একটি বাড়িতে বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক মজুত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। বাড়িটির চারিদিকে পুলিশ মোতায়েন করে ঘিরে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বম্বস্কোয়ার্ডের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মজুত থাকা বিষ্ফোরকগুলি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন চালার সময় গত ১০ জুন এই বীরভূমের (Birbhum) এলাকা থেকে বিষ্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগে মনোজ ঘোষ নামে এক তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার পরেও ওই এলাকায় বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক মজুত থাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরপর তাঁর সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় ইসলাম চৌধুরী নামক এক ব্যক্তিকে।
এই ঘটনায় বীরভূমের (Birbhum) জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে মানুষের ভোট লুট করেছে তৃণমূল। পুলিশ সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিয়েছিল। আজকে উদ্ধার হওয়া এই বিস্ফোরকের পিছনে তৃণমূলের বিকি শেখ হল প্রধান অভিযুক্ত। এলাকার তৃণমূল নেতা আসাদ উদ্দিন, বিধায়ক এই বিস্ফোরকের পিছনে জড়িত। রাজ্য প্রশাসনের উপর আমাদের কোনও বিশ্বাস নেই। কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানাই।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।