শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় হাজিরা তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারীর...
বিভাস অধিকারী। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে বুধবারে হাজিরা দিলেন বীরভূমের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari), যদিও আগেই তাঁকে সিবিআই কয়েকবার নোটিস দিলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কয়েকবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। সূত্রে জানা গিয়েছে যে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিভাস। আরও জানা গিয়েছে যে বীরভূমের তাবড় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল তাঁর।
বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি ছিলেন বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari)। তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়ে জানান, ‘কিছু নথি দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই হাজিরা দিতে এসেছি।” শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশেষ পরিচয় ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন বিভাস। ২ থেকে ৩ টি বিএড কলেজের মালিক বলেও জানা গিয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরেই এই বিভাস অধিকারীর নাম উঠে এসেছিল। অনেক দিন ধরে তাঁর বিষয় নিয়ে খুব একটা সংবাদ আসেনি। বুধবারে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে গেলে ফের একবার জল্পনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য তাঁর নলহাটির বাড়ি, কলকাতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি করেছিল সিবিআই অফিসাররা। জানা গিয়েছে তিনি নিজেকে অনুকূল ঠাকুরের ঋত্বিক বলে দাবিও করেন। নিজের আশ্রমকে ঢাল করে দুর্নীতির ব্যবসা চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগের মামলায় অভিুযুক্ত বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari) বলেন, “২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় আমি অসুস্থ হয়ে পরি। গোপাল দলপতিকে আমি চিনি না। কুন্তলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই, চোর ডাকাতরা বাঁচার জন্য অনেকের নাম নিচ্ছে। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের জন্য আমি সবরকম সহযোগিতা করবো। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমিও চাই প্রকৃতি সত্য ঘটনা উঠে আসুক। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার আসব। আমাকে ডেকে নথি চাওয়া হয়েছিল, সব দিয়েছি। অবৈধ কোনও বিষয় আমার কাছে নেই।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।