BJP Attacks Abhishek: শাহজাহানদের বাঁচাতে আর কত নীচে নামবেন অভিষেক?
(বাঁদিক থেকে) শমীক ভট্টাচার্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও গঙ্গারাম কয়াল। ছবি— সংগৃহীত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) একটি ভিডিও নিয়ে ভোটের বাজারে হাওয়া গরম করার খেলায় মেতে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার একটি ‘স্টিং অপারেশনের’ ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে রাজ্যের বিরোধী দলের এক স্থানীয় নেতাকে প্রায় অন্ধকারে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা যায়। ওই নেতার নাম গঙ্গাধর কয়াল। যদিও ওই ভিডিওর (Sandeshkhali Video) সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। আর সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সম্মানহানি করেন অভিষেক। প্রত্যুত্তর দিতে দেরি করেনি বিজেপিও (BJP Attacks Abhishek)।
সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় যে রাজ্যের শাসক দলের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর তাই এবার সেই জমি ফিরে পেতে শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন করলেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ওই ‘স্টিং অপারেশনের’ ভিডিওর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দাবি করে বসলেন যে, ধর্ষণের সব অভিযোগ মিথ্যে। সকলকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, তাঁর দাবি, ২ হাজার নিয়ে ওই নির্যাতিতারা ‘মিথ্যে’ ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এখানেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন (BJP Attacks Abhishek)।
এক, তাহলে মহিলাদের সম্ভ্রমের দরও এখন ঠিক করে দিচ্ছেন অভিষেক? দুই, ২ হাজার টাকার জন্য নির্যাতিতারা মিথ্যে বলতে যাবেন কেন? তাও এক-দুজন নয়... এতজন? এও কি সম্ভব? তিন, সম্ভ্রমের চেয়ে ২ হাজার টাকা কি কখনও বড় হতে পারে? চার, তাহলে ওই মহিলাদের কান্নাও কি মিথ্যে? এত মা-বোনেদের চোখের জল মিথ্যে? এটাই কি বলতে চাইছে তৃণমূল? পাঁচ, সন্দেশখালির শয়ে শয়ে মহিলা ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন শাহজাহান-বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাঁরা সকলে মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য এটা করেছিলেন! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য (BJP Attacks Abhishek)?
এই দাবি করে প্রত্যেক নির্যাতিতাকে অপমান করেছে তৃণমূল। তৃণমূল এতটাই নীচ কাজ করতে পারে। এর থেকেই স্পষ্ট, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ ও তাঁর ভাই ও শাকরেদদের কুকর্ম ঢাকতে গিয়ে এবার ধর্ষণের ঘটনাকে ভুয়ো বলে ধামাচাপা দিতে চাইছে তারা। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গর্জে উঠেছে। তৃণমূলের পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে। আর তাই এখন তৃণমূল গোটা ঘটনাকে সাজানো আখ্যা দিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে (BJP Attacks Abhishek)।
এখন পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, মহিলাদের ক্যারাক্টার সার্টিফিকেট নিতে হবে অভিষেকের থেকে? অভিষেক ঠিক করবেন, ওই মহিলাদের ধর্ষণ হয়েছিল কি না! প্রশ্ন উঠছে, কেউ একজন বলল, শুভেন্দুর কথায় হয়েছে বা ২ হাজার টাকার বিনিময়ে হয়েছে, তা শুনেই সকলে বিচারক হয়ে গেল? আর যে ভিডিও (Sandeshkhali Video) নিয়ে এত তোলপাড়, তার সত্যতা কী? সেটা বিকৃত হতে পারে। প্রযুক্তির ব্যবহারে বদল করাও হতে পারে। সত্যতা যাচাই করা এখনও হয়নি। ফলে, একটা অযাচাই করা ভিডিও দেখে সন্দেশখালির মহিলাদের ফের একবার সম্মানহানি করতে নেমে পড়েছেন অভিষেক (BJP Attacks Abhishek)। প্রথমে সম্ভ্রামহনন, আর এবার মহিলাদের চরিত্রহনন করা শুরু করেছে তৃণমূল। এটাও তো ধর্ষণের সামিল... শারীরিক না হলেও মানসিক।
ইতিমধ্যেই, ভিডিও নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ভোটে হারবে জেনে তৃণমূল নতুন ফন্দি এঁটেছে। তিনি বলেন, ‘‘ভাইপো (BJP Attacks Abhishek) আর আইপ্যাকের পরিকল্পনা করে তৈরি এই ভিডিও। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ দলের রাজ্যসভার সাংসদ শমীর ভট্টাচার্য ভিডিওটিকে ভুয়ো দাবি করে বলেন, বিরোধী দলনেতাকে কালিমালিপ্ত করতে এটা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তৃণমূল আসলে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতাদেরই অপমান করল। বিজেপি নেতা জানিয়ে দেন, তাঁরা চান, সন্দেশখালি নিয়ে যে ভিডিও (Sandeshkhali Video) ভাইরাল হয়েছে, তার সিবিআই তদন্ত হোক। রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, ‘‘তৃণমূল সব কিছুতেই সাজানো ঘটনা দেখে। সন্দেশখালির মহিলারা এসে কোর্টে তাঁদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন।’’ গঙ্গাধর কয়াল নিজেও অবশ্য দাবি করেছেন ভিডিওতে তাঁকে দেখা গেলেও কণ্ঠস্বর তাঁর নয়। সেকারণে তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।