CAA: সিএএ কার্যকরী হতেই বিজেপির ওপর ফের আস্থা রাখলেন বনগাঁবাসী
শান্তনু ঠাকুর (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে অন্যতম ইস্যু ছিল সিএএ কার্যকরী করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক সভা মঞ্চে বার বার সিএএ-র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) সিএএ কার্যকরী করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। শেষ দফা ভোটের আগেই রাজ্যে একাধিক শরনার্থী নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়ে যান। এরপরই তাঁরা কুর্ণিশ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। আস্থা রাখেন বিজেপির ওপর। আর এই সিএএ-এর ওপর ভর করেই বনগাঁ আসনে বাজিমাত করলেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। পরপর দু'বার জয় পেলেন শান্তনু।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনুর (Shantanu Thakur) প্রাপ্য ভোট ৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫০৫। ৭৩ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে হারিয়েছেন তিনি। বিশ্বজিৎ দাস পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮১২ ভোট। জানা গিয়েছে, গণনার প্রথম কয়েক দফায় ভালই লড়াই দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখতে পারেননি। এমনিতেই বনগাঁ কেন্দ্রে বড় ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। আর মতুয়া গড়ে মুখ শান্তনু ঠাকুর, যিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আবহেই সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকার। মতুয়া গড়ে উচ্ছ্বাসের ঝড় বয়ে যায়। বিজ্ঞপ্তি জারি ও আবেদনের ভিত্তিতে নাগরিকত্বও পেয়েছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেটা শান্তনুর জয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে। তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন, বামেদের একাংশের ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। এটাও তৃণমূলের হারের কারণ। গত পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই সবই শান্তনুকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব
জয়ের বিষয়ে শান্তনু (Shantanu Thakur) বলেন, গত পাঁচ বছর আমি এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। এছাড়া এবার আমাদের অন্যতম ইস্যু ছিল, সিএএ কার্যকরী করা। আমরা সেটা করে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা যে ভাঁওতা দিই না, তা মানুষ বিশ্বাস করেছেন। তাই, আমার ওপর তাঁরা ফের আস্থা রেখেছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।