Calcutta High Court: বিজেপির আবেদনে সাড়া দিল হাইকোর্ট, মিলল ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি
বিজেপির ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্নায় (BJP Dharna) বসেছিল বিজেপি। ২৯ অগাস্ট থেকে বিজেপির তফশিলি মোর্চার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর ছিল সেই ধর্নার শেষ দিন। এরই মধ্যে ধর্নার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মোর্চার কর্মীরা। সেই আবেদনে সাড়া দিল হাইকোর্ট। ওই সময়সীমা বৃদ্ধি করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
ধর্নার (BJP Dharna) সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মোর্চার কর্মীরা। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্না করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। এদিন রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, বিজেপির তফশিলি মোর্চা কেন আগে এ নিয়ে কিছু বলল না? রাজ্যের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন করেন, প্রথমে যখন অনুমতি চাওয়া হয় বা আদালতে আগের পর্যায়ের শুনানির সময় কেন বলল না, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে নিয়ে যেতে চায়? কারণ তারা জানত একসঙ্গে এত লম্বা ধর্নার অনুমতি আদালত দেবে না। এর আগে ২৯ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডোরিনা ক্রসিং বা ওয়াই চ্যানেলে ধর্নার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১০০০ জনকে নিয়ে ধর্না করার অনুমতি দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় ধর্নার শেষ দিন ছিল। ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ধর্মতলায় নিজেদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চায়। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেন।
আরও পড়ুন: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি করের চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। বিজেপি রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে প্রতিবাদ শুরু করে। শ্যামবাজারে ধর্নায় বসতে চেয়েছিল বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, কলকাতা পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। গত ২০ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট টানা পাঁচদিন কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয় বিজেপিকে। ওই পাঁচ দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্না (BJP Dharna) কর্মসূচি চালানো যাবে বলেও জানিয়েছি হাইকোর্ট। ২৮ অগাস্ট বিজেপি রাজ্যে বনধের ডাক দিয়েছিল। এরপর ২৯ তারিখ থেকে আবার ধর্মতলা কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবি তোলে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।