মুর্শিদাবাদেও বিজেপির দাপট, গ্রাম পঞ্চায়েতে কত আসন পেয়েছে জানেন?
বিজেপির জেলা কার্যালয় (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় বাজিমাত করল বিজেপি। তৃণমূলের খাসতালুকেই এখন গেরুয়া বাহিনীর দাপট। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা প্রায় দূরবীন দিয়ে দেখতে হত। এখন সেখানে জেলার একাধিক ব্লকেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বহু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। যা এতদিন ভাবা যেত না। বহু জায়গায় বোর্ড গঠন করতে পেরে বিজেপি কর্মীরাও চাঙ্গা।
এই জেলায় (Murshidabad) লোকসভার তিনটি আসন রয়েছ। এর মধ্যে দুটি তৃণমূলের এবং বিধানসভায় ২২ টি সিটের মধ্যে ২০ টি তৃণমূলের। সেখানে কী করে বিজেপি এতগুলি সিট পেল সেই নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় চলছে চুলচেরা বিচার। ভরতপুর বিধানসভার টেঁয়া-বদ্যিপুর, বহরমপুর ব্লকের হাতিনগর গ্রাম প়ঞ্চায়েত, বেলডাঙ্গা বিধানসভার মহুলা গ্রাম পঞ্চায়েত, বড়ঞা ব্লকের কুরুন্ননুন, বেলডাঙ্গা-১ ব্লকের চৈতন্যপুর-২, বহরমপুর ব্লকের রাঙামাটি চাঁদপাড়া, বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের রামনগর বাছড়া, বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের কামনগর, বড়ঞার বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েত, কল্যাণপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির প্রধান নির্বাচিত হয়েছে। বিজেপির উপ প্রধানও হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
এ বিষয়ে কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, বিজেপির সাহায্য নিয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করছে। স্বাভাবিক কারণে এই জেলায় কিছু কিছু জায়গায় স্থানীয় রাজনীতির উপর ভিত্তি করে অনেক কিছু হয়েছে। তাই বিজেপিও বেশ কয়েকটি বোর্ডে ক্ষমতায় এসেছে। তবে, মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে আমাদের অধিকাংশ জায়গায় দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোদিজির উন্নয়নকে মানুষ বিশ্বাস করেছে। তৃণমূলের একচেটিয়া রাজকে তছনছ করে বিজেপিকে চেয়েছে। যার ফলে জেলায় (Murshidabad) বিজেপির এইরকম রেজাল্ট হয়েছে। জেলায় দশটি পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান রয়েছে। আর আটটা উপপ্রধান রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৭ জন জয়ী হয়েছে। জেলায় ৩৭৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবার জয়ী হয়েছে। সংখ্যালঘু জেলায় বিজেপির উপর আস্থা বাড়ছে এই ঘটনা তা প্রমাণ করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।