কৃষ্ণনগরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুখকে প্রার্থী করল বিজেপি, কে জানেন?
মহুয়া মৈত্র (বাঁদিকে), রানিমা অমৃতা রায় (ডানদিকে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের রাজবধূ অমৃতা রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। বিজেপি-র দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ হতেই সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিল পদ্মশিবির। রাজবধূ তথা নদিয়ার (Nadia) রানিমাকে কৃষ্ণনগরে কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি।
গত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়ার জয়ের নেপথ্যে ছিল নদিয়ার (Nadia) চাপড়া, পলাশীপাড়া ও কালীগঞ্জ বিধানসভা। ওই তিনটি বিধানসভা থেকে বিপুল ভোট পেয়েছিলেন মহুয়া। গত পাঁচ বছরে কালীগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি হওয়ায় ওই বিধানসভায় ছন্নছাড়া অবস্থায় শাসকদল। একমাত্র কাঁটা চাপড়া বিধানসভা। সেখানে এত দিন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও ভোটের মুখে দলত্যাগী নেতাদের আবার দলে এনে বড় ব্যবধানে জিততে চাইছে তৃণমূল। তাই বিজেপিও পাল্টা চাইছে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জিততে। কৃষ্ণনগর উত্তর বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর, সেখানে ভোটের ব্যবধান বৃদ্ধি করতে 'রানিমা'র মতো এক জন স্থানীয়, প্রভাবশালী ও পরিচিত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুখকে প্রার্থী করে বাজিমাত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জেলায় বিজেপির এক নেতা বলেন, "অমৃতা রায় রাজপরিবারের বিভিন্ন সামাজিকঅনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে জনসংযোগ করেন। এ ছাড়াও জগদ্ধাত্রী পুজো, দুর্গাপুজা ও রাজবাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের রাশ এখন তাঁর হাতে। ভোটারদের মধ্যে আবেগ রয়েছে রাজপরিবার নিয়ে।"
আরও পড়ুন: বসিরহাট কেন্দ্রে চমক বিজেপির, সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখার ওপর ভরসা মোদির
দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে ১৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় অমৃতার নাম রয়েছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর রানিমা অমৃতা রায় বলেন, "নদিয়ার (Nadia) ইতিহাসে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অবদান সকলে জানেন। ভারতে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের ভূমিকা আজও সবাই মনে রেখেছেন। রাজবধূ নয়, সাধারণ জনতার কণ্ঠ হওয়ার জন্যই ভোটের ময়দানে আসা। আশা করি, মানুষ দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।