West Bengal: গত ১৩ বছরের নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলির জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি
বিজেপি পুজোয় যে স্টল দিচ্ছে, সেখানে এই ‘ব্ল্যাক পেপার’ থাকবে (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এই আবহে মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে তুলে ধরে বই প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক পেপার’। মঙ্গলবারই এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় বিজেপির (BJP) রাজ্য সদর দফতরে। গেরুয়া শিবির (BJP) সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনার পাশাপাশি গত তেরো বছরের নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলির জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ, অধ্যাপক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক জয়ন্ত গুহ ও ডাক্তার মধুছন্দা কর। যে ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য এফআইআর নেয়নি, সেরকম কিছু ঘটনাও ‘ব্ল্যাক পেপার’-এ উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, বিজেপি (BJP) পুজোয় যে স্টল দিচ্ছে, সেখানে এই ‘ব্ল্যাক পেপার’ থাকবে। মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে মমতার আমলে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতিক অবস্থানে ছিলাম, সেখানে সকলেরই এক যুক্তি ছিল, 'ধানতলা-বানতলা সরকার আর নেই দরকার'। ২০১১ সালের পর মানুষ গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করেন। ২০১১ সালের পর আমরা কী পেয়েছি আর পাইনি? তা নিয়েই আজ ব্ল্যাক পেপার বইটি প্রকাশ করা হচ্ছে।
নারী নির্যাতনে রাজ্যকে দেশের মধ্যে শীর্ষে নিয়ে যায় মমতা সরকার
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার বাংলাকে (West Bengal) নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে নিয়ে যায়। ২০১১-তে এ রাজ্যে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ২৯,১৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১২ সালে সেটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০,৯৪২। পর পর দু’বার নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এনসিআরবি-কে তথ্য পাঠাতেই নিষেধ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অনেকেই বলছেন, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে বাংলা (West Bengal)। এতে কোনও সন্দেহ নেই।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।