Cooperative Election: সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তি, চলল গুলি, বোমাবাজি...
নন্দীগ্রামের সেই ছবি। সংগৃহীত ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় নির্বাচনে চলল গুলি। হল বোমাবাজিও। বাদ যায়নি অগ্নিসংযোগও। রবিবার নির্বাচন ছিল তমলুকের এগ্রিকালচার সোসাইটির। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে এদিন বেলার দিকে সংঘর্ষ (BJP TMC Clash) বাঁধে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কাঞ্চননগর গ্রামে। খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ।
পুলিশের সামনেই হয় বোমাবাজি। চলে গুলিও। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তপ্ত পরিস্থিতির জেরে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। ঘটনার জেরে ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভয়ে ভোট দিতে যাননি বহু ভোটার। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, “শনিবার থেকেই বুথ এলাকায় জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। ১০০ মিটারের বাইরে ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ সেখানে রীতিমতো প্রহসন চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের সামনেই ব্যাপক বোমাবাজি করেছে ওরা। আমাদের এক নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন (BJP TMC Clash), “এই ঘটনার জেরে আমি নিজেও আমার ভোটটা দিতে পারিনি। নন্দীগ্রামের ভোটারদের ওপর তৃণমূলের আস্থা নেই বলেই এমন বোমাবাজি করছে।”
আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার
এদিন সকাল আটটা থেকে কাঞ্চননগর হাইস্কুলে শুরু হয় কৃষি সমবায়ের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন ২২ জন। নির্বাচন শুরুর দিকে নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, বেলা বাড়তেই শুরু হয় উত্তেজনা। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তার পরেই শুরু হয় বোমাবাজি, চলে গুলিও। দেবপ্রসাদ মাইতি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমার বাড়ি এখানেই। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎই দেখি, কয়েকজন এসে বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি (BJP TMC Clash)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।