প্রধানমন্ত্রীর সভা সেরে ফেরার পর বিজেপি কর্মীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, কাঠগড়ায় তৃণমূল
বিজেপি কর্মীর বিছানায় আগুন ধরানোর পর (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরে নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাওয়ার কারণে রাতের বেলা ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় আগুন ধরিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাকদা থানার শিমুরালি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম জয়ন্তী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার (Nadia) শিমুরালি ঘোষপাড়া এলাকায়। শনিবার কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় গিয়েছিলেন। এরপর প্রতিদিন রাতের মতোই নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। ওই গৃহবধূর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন বিছানায় রাতের অন্ধকারে জানলার ফাঁক দিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেই আগুনে পুড়ে যায় মশারির বেশ খানিকটা অংশ। পাশাপাশি এই গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগে এবং চুল পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে যথেষ্টই আতঙ্কিত দাস পরিবার। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী জয়ন্তী দাস বলেন, মোদির সভায় যাওয়া অপরাধ হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা তা মেনে নিতে পারেনি। তাই, আমার বিছানায় আগুন দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কোনওরকমে আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।
এ বিষয়ে সাংসদ তথা রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, সন্দেশখালিতে যেভাবে তৃণমূল অত্যাচার চালিয়েছে, ঠিক সেইরকম গোটা রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাওয়ার কারণে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রশাসন কত দূর পদক্ষেপ নেবে তা আমাদের জানা নেই। তবে, আমরা ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাব এবং গোটা বিজেপি তাঁর সঙ্গে রয়েছে সেই আশ্বাস দিয়ে আসবো।
এ বিষয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নদিয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এবারের রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে। সেই কারণে দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করছে। এটা পুরোটাই ভিত্তিহীন, বিজেপির নাটক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।