বিজেপির দলটি তারকেশ্বর ও আরামবাগের সন্ত্রাস কবলিত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখে
আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রতিনিধি দল (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনায় এখনও ঘরছাড়া বহু বিজেপি (BJP) কর্মী। পরিস্থিতির খোঁজ নিতে এবং সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বাংলায় এসেছে বিজেপির আরও একটি প্রতিনিধি দল। এই দলটি তফশিলি সম্প্রদায়ের পাঁচ সাংসদ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
হুগলির তারকেশ্বর ও আরামবাগের সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন
দলটি রবিবার হুগলির তারকেশ্বর ও আরামবাগের সন্ত্রাস কবলিত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখে। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন থেকে সেই জায়গাগুলিতে ‘সন্ত্রাস’ চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শাসকদলের হুমকির রোষে বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। ভোটের দিন যে সব দলীয় কর্মী তৃণমূলের হাতে মার খেয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সংবিধান মেনে কাজ না করলে এবং বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’
কী বলছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা
রবিবার বিকেল নাগাদ তারকেশ্বরের পিয়াসাড়া নাইটা মালপাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালপাহাড়পুর ও রামচন্দ্রপুর গ্রামে যায় বিজেপির তফশিলি সম্প্রদায়ের ওই দল। দলে ছিলেন বিনোদ সোনকর, সুরেশ কশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ চাবড়া। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, ‘‘ভোটের দিন মালপাহাড়পুরের ১৪৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী নীলকান্ত বাগ-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মীর উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই রাস্তায় তাঁদের বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে মারধর করা হয়। সেই ঘটনায় নীলকান্ত, তাঁর বুথ এজেন্ট সঞ্জিত মাজি এবং বিজেপি কর্মী সাগর রুইদাস গুরুতর জখম হন। তাঁদের তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।’’ এই দলটি সঞ্জিতের বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে তারা। রবিবার সন্ধ্যায় আরামবাগের পার্টি অফিসেও যায় কেন্দ্রীয় দলটি। দলের সদস্য বিনোদ সোনকর বলেন, ‘‘তৃণমূলের অত্যাচারে আমাদের দলের কর্মীরা ঘরছাড়া। পুলিশের মদতে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির কর্মীদের হামলা করেছে। এর দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিতে হবে। কারণ, তিনিই পুলিশমন্ত্রী। সংবিধান মেনে কাজ হোক। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। না হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’ বিনোদ সোনকরের আরও সংযোজন, ‘‘এখানে পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে রাখছি, তারা একটা রাজনৈতিক দলের মতো কাজ করছে। সেটা বন্ধ করতে হবে। তারা যদি এ রকম কাজ করতে থাকে, তা হলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও একই রকম পদক্ষেপ করা হবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।