কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন পৌঁছানো নিয়ে রাজ্যের সর্বময়কত্রীর চিন্তার শেষ ছিল না, তিনিই এখন অনুব্রতর পশ্চাৎদেশের অসুখেও গা করছেন না
অনুব্রত মণ্ডল
মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এসএসকেএম হাসপাতাল ফিরিয়ে দিয়েছে। তারপরেও কেন অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata) চিকিৎসার জন্য সরকারি ডাক্তাররা তাঁর বাড়ি গেলেন তা নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর কাছে জবাব তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা মঙ্গলবারই ফোন করে হাসপাতাল সুপারকে ধমক দেন। তারপরেই তড়িঘড়ি অবস্থান বদলে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেন, চাপের মুখে বাধ্য হয়ে তিনি অনুব্রতর বাড়ি গিয়েছিলেন। এর থেকে স্পষ্ট রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তর এবার কেষ্ট মণ্ডলকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। তাই সরকারি চিকিৎসকদের তাঁর চিকিৎসা না করার ফরমান জারি করে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই?
সরকারি সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়িও স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়ে দেন বোলপুর হাসপাতালের সুপার যে অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার পাঠাচ্ছেন তা তাঁর জানা ছিল না। তাঁকে পুরো প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা না জানলেও জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ এক কর্তা এবং এক পুলিশ অফিসার এ নিয়ে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরাই বোলপুরের সুপারকে কেষ্টর বাড়িতে ডাক্তার পাঠিয়ে আনফিট সার্টিফিকেট দিতে বলেছিলেন। এখন স্বাস্থ্য ভবন বেঁকে বসায় তাঁরাও আর দায় নিচ্ছেন না।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, পিজি হাসপাতাল কেষ্টকে ভর্তি না করার পরই বোঝা উচিৎ ছিল সরকার আর ওই ব্যক্তির চিকিৎসা নিয়ে জড়াতে চায় না। তারপরও সরকারি ডাক্তাররা তাঁর বাড়িতে গিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করায় রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চস্তর থেকে বিরক্তি প্রকাশ করা হয়। ঘটনাচক্রে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই স্বাস্থ্য অধিকর্তা বোলপুরের সুপারকে ধমক দিয়ে আর কোনও চিকিৎসা না করার পরামর্শ দেন। কেন ওই ডাক্তারকে পাঠানো হয়েছিল তাও সবার সামনে জানিয়ে দিতে নির্দেশ দেন।
গরু পাচার মামলায় সিবিআই চার্জশিটে কাদের নাম?
স্বাস্থ্য ভবনের এমন অবস্থানে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন জেলা তৃণমূলের নেতারা। যে কর্তা হাসপাতাল সুপারকে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিও নবান্নে নানা ব্যাখ্যা পাঠিয়েছেন। তৃণমূল নেতারা বুঝতে পারছেন যে কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন পৌঁছানো নিয়ে রাজ্যের সর্বময়কত্রীর চিন্তার শেষ ছিল না, তিনিই এখন অনুব্রতর পশ্চাৎদেশের অসুখেও গা করছেন না। তৃণমূল নেতারা আড়ালে বলছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(parta chatterjee) পর অনুব্রত মণ্ডলের দায়ও দল ঝেড়ে ফেলল। এখন হাজতবাস ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।