বীরভূমে অজানা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ব্যাপক আতঙ্ক!
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আক্রান্ত হয়ে রোজ মানুষ মারা যাচ্ছেন। বর্ষার জমা জল, যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে বারবার রাজ্য প্রশাসন এবং পুরসভার বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সরব হয়েছেন সর্বত্র। এবার ফের বীরভূমের সিউড়ি ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের মানুষ অজানা এক শ্বাসকষ্ট (Breathing Problem) রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কম বয়সের ছেলেমেয়েরাই বারবার এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে রোগের কারণ জানা যাচ্ছে না। আর তাই আতঙ্ক বাড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের ছেলেমেয়েরা বারবার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এক পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি এই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু রোগের কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছে না। সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের অবিনাশপুর, ভোলাইপুর, ক্ষতিপুর সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ রোজ আক্রান্ত হচ্ছে, এই অজানা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে। যারা এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগের বয়স ১২ থেকে ২০ বছর। এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৪০ থকে ৫০ জন ছেলেমেয়ে আক্রান্ত হয়েছে। রোগের কারণ জানতে না পারায় এলাকায় আতঙ্ক বাড়ছে।
এলাকার অভিভাবকদের বক্তব্য, “এলাকার এক একটি পরিবারের দুই থেকে তিনজন ছেলেমেয়ে এই রোগে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট (Breathing Problem) উঠলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবিনাশপুর হাসপাতালে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে নিয়ে যেতে হচ্ছে আবার সিউড়ি কিংবা বর্ধমানেও। আক্রান্তদের মধ্যে ছেলের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। এলাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ।”
এলাকায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিশেষ মেডিক্যাল টিম পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত রোগের (Breathing Problem) কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানসিক চাপের জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে আরও বলেন, সম্পূর্ণ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর।
সিউড়ি দুই নম্বর ব্লকের বিএমওএইচ (BMOH) বলেন, বেশ কিছু মেয়ের সমস্যার কথা জানা গেছে। আমরা চিকিৎসার কাজ চালাচ্ছি। অনেক বাইরের ডাক্তার এসে চিকিৎসা করছেন। তবে কারণ পুরোপুরি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।